 |
বিমানবন্দরে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হেড কোচ স্টিভ রোডস। কিছুটা অবাকই হলেন উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। বিদেশ সফর শেষে দলের সঙ্গে হেড কোচ ফিরেছেন, এমন দৃশ্য তো দেখা যায়নি বহুদিন!
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে সফর শেষ করে দলের সঙ্গে ফিরেছেন এমন নজির নেই। সিরিজ শেষ হলেই এই লঙ্কান ছুটি নিয়ে চলে যেতেন সিডনিতে তার স্থায়ী আবাসস্থলে। তবে ইংলিশ কোচ রোডস তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সাকিবদের সঙ্গেই।
দেড় মাসের সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। শুরুর ব্যর্থতা কাটিয়ে রঙিন পোশাকে ক্রিকেটারদের ঘুরে দাঁড়াতে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নতুন কোচ স্টিভ রোডস। ওয়ানডে সিরিজ জয় প্রত্যাশিত হলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে টি-টুয়েন্টিতে পারা যাবে ভাবেননি রোডস। তার মতে, সফরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয় ছিল অভাবনীয় ব্যাপার।
‘টেস্ট সিরিজটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। আমরা টেস্টের পারফরম্যান্সে যথেষ্ট আঘাত পেয়েছি। তবে খুবই গর্ববোধ করছি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরে। ওয়ানডে সিরিজ জয় করার প্রত্যাশা আমাদের ছিল, আমরা সেটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয় অবাক করার মতো ছিল। আমরা আসলেই দারুণ খেলেছি শেষ দুই ম্যাচে। খুবই খুশি দুটি সিরিজ জয় করতে পেরেছি। লিটন দাসের প্রতি খুবই সন্তষ্টু, সে শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছে।’
অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকা টেস্টে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে স্টিভ রোডস বলেন, ‘প্রথম টেস্টে টস হারাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। উইকেটে একই সাথে সিম, সুইং ও বাউন্স করেছে। টেস্টে তারা ডিউক বলের ব্যবহার করেছে। সেই সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল, রোচ, হোল্ডার ও কামিন্সদের নিয়ে গড়া উইন্ডিজ বোলিং লাইনআপ বেশ ভালো। তাদের বিপক্ষে বেশীরভাগ ব্যাটিং লাইনআপকে এমন কন্ডিশনে ধুঁকতে হতো।’
সিরিজ জয়ের পেছনে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন রোডস, ‘ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে দুই অধিনায়কই তাদের বোলারদের দারুণভাবে ব্যবহার করেছে। মাশরাফী ও সাকিব, দুইজনই বোলারদের ভালো পারফর্মেন্সটা বের করে নিয়েছে। আমাদের কিছু যোগ্যতা সম্পন্ন স্পিন বোলার রয়েছে এবং ভালো পেস বোলিংও ছিল, যা আমাদের উইন্ডিজে ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করেছে। তবে টেস্ট ম্যাচের জন্য আমাদের কয়েকজন দ্রুত ও দীর্ঘদেহী বোলার খুঁজে বের করতে হবে, যারা উইকেটে জোরে আঘাত করে সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। যেমনটা উইন্ডিজ বোলাররা করে দেখিয়েছে।’
প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই লম্বা সফর পাওয়ায় বাংলাদেশ দল নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন নতুন কোচ। টেস্টে উন্নতি করতে কী দরকার তা উপলব্ধি করেছেন তিনি, ‘দেখুন টেস্ট ম্যাচে আমাদের ব্যাটিং সামর্থ্য কিছুটা খোলাসা হয়েছে। আমাদের এখানে উন্নতি করার জায়গা আছে। আমাদের যোগ্য খেলোয়াড় রয়েছে কিন্তু আমাদের কন্ডিশনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে ও প্রতিপক্ষ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।বিশেষ করে যখন আমরা দেশের বাইরে খেলব।’