“কথা আছে যে চোরের মা’র বড় গলা,আর চোরে সাক্ষী মাতবার” কথাটি মুখে মুখে বলা হলেও বাস্তবে পরিনত হয়েছে এটি। এমনটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামে। স্থানীয় পেশাদার চোর মিন্টু ওরপে মিন্টু চোরা মোবাইল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তা জানতে চাওয়াই ছিল ভুক্তভোগীদের অপরাধ।
মোবাইল চুরিতে বাঁধা দেয়ায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন চোর। আর ওই মামলার সাক্ষী হন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও করইতলা ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির বাচ্চু। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও মিন্টু চোরার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। একাধিক দিন একাধিকবার মোবাইল চুরির ঘটনার সাথে জড়িত সে। বেশ কয়েকবার ধরা পড়ার পর অনেকের মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে তার কাছ থেকে। অর এসব ঘটনার পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম কবির বাচ্চু। এমনটি অভিযোগ স্থানীয়দের।
তথ্য সূত্র জানাগেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে করইতলা এলাকার কুশি বাড়ীর জেসমিনের ঘরে ঢুকে মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ায়র সময় হাতে নাতে আটক হয় মিন্টু। জেসমিন আক্তার বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে মোবাইল ফোনে জানান। ঘটনাস্থলে মেম্বার উপস্থিত হয়ে গণ্যমান্য বক্তিদের আসার অনুরোধ করলে রাত ৯ টার দিকে রাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এসময় কয়েক শতাধিক লোকের সামনেই চুরি প্রমানিত হলে মিন্টু চোরাকে চড় থাপ্পড় দেয় মেম্বার। এতে মেম্বাররের সব তথ্য ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয় মিন্টু চোরা। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা উল্টে যায়। গত ৩ অক্টোবর মিন্টু চোরা বাদী হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে বিক্ষুব্দ ওই এলাকার সকল শ্রেনি পেশার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, মিন্টু একজন পেশাদার চোর। তার এমন আচারণে অতিষ্ঠ সবাই। এর আগে কয়েকবার তাকে মোবাইল চুরির সময় আটক করা হয়। এবং ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম কবির বাচ্চুর শেল্টারের কারণে মিন্টু চোরের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা স্থানীয়রা। এসব ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনসহ আইনে সহযোগিতা চায় ভুক্তভোগীরা।