 |
তাপদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো স্বস্তি নেই। শিশুরা ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়ছে গাছ-গুল্ম-লতা। ফলে প্রাণীকুল বিপর্যস্ত অবস্থায় সময় কাটাচ্ছে। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। সামান্য স্বস্তি ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। আর অতিরিক্ত গরমে একটু শীতল পরিবেশ ও স্বস্তির জন্য বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে ভিড় করছেন তারা।
প্রচন্ড তাপমাত্রার কারণে বেশ কিছুদিন যাবত তাপদাহের কবলে পুড়ছে নওগাঁর মানুষ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সব শ্রেণির মানুষ।
এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গ্রীষ্মের এই তাপদাহ মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সকল প্রাণি! গরম আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের দম যাই যাই অবস্থা। একটু শীতল পরশ ও ঠান্ডা পানির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। তবে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন তীব্র ভোগান্তিতে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই তাদের যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে।
নওগাঁ শহরের আজাহার আলী নামের এক কিরশাচালক বলেন,‘প্রচন্ড গরম আর রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কি করবো তবুও পেটের দায়ে রিকশা চালাচ্ছি। রিকশা না চালালে চুলায় আগুন জ্বলবেনা।
শহরের তাজের মোড়ের মইন উদ্দিন নামের হোটলে শ্রমিক বলেন, ‘গরমে কাজ করতে হিমশিম হয়ে পরছি। খাবার পরিবেশন আর রান্নার কাজ করতে আমাদের অনকে কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুই এক গ্লাস স্যালাইন পান করছি। কিছু তো করার নেই। কাজ না করলে পেট চলবে কেমনে।
শহরের পার নওগাঁর রাজিয়া সুলতানা নামের গৃহিনী জানান, গরমে আমার শিশু সন্তান মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পরছে। মাঝে মাধ্যেই বিদ্যুৎ না থাকলে সে গরমে কান্নাকাটি করে বিশেষ করে সন্তানকে স্কুলে আনা নেয়ার সময় তীব্র তাপাদহে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রওশন আরা খানম জানান ,‘প্রচন্ড তাপদহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন। ডায়রিয়া, আমাশয়ের মত পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে গরম জনিত সমস্যায় রোগি ভর্তি হচ্ছেন । আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমত সেবা দিতে। স্যালাইনের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পরিষ্কার খাবার পানি আর ঠান্ডা স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারি মো.মিজানুর রহমান জানান, মোমবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আগামীকাল তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আপাদত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।