 |
শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচ গুণী শিল্পীকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০১৮ সম্মাননা প্রদাণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্প একাডেমির নিজস্ব মিলনায়তনে আলোচনাসভা, সম্মাননা প্রদাণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মো. নূর-উর-রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু। সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুণীজনকে সম্মান করা আমাদের একে অপরের নৈতিক দায়িত্ব। আর গুণীজনকে সম্মান করতে হলে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কারণ একমাত্র শিক্ষায় পারে গুণীকে সম্মানীত করতে। আর তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গুনীজনদের সম্মান করার আদব শিক্ষিয়ে দেবার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময় স্বাগত বক্তব্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার মো. ফারুকুর রহমান ফয়সাল জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০১৮ এর জন্য প্রাথমিকভাবে কণ্ঠসংগীতে ১৭ জন, লোকসংস্কৃতি গম্ভীরায় ৭ জন, নাট্যকলায় ৩ জন, আবৃত্তিতে ২ জন ও যন্ত্র-সংগীত তবলায় ৫ জন মনোনীত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে থেকে নির্বাচক কমিটি গুণী শিল্পী হিসেবে কণ্ঠসংগীতে মেহবুব রাজা, লোকসংস্কৃতিতে (গম্ভীরায়) মো. সাইদুর রহমান, নাট্যকলায় মো. গিয়াস উদ্দিন, আবৃত্তিতে মোসা. রাসিদা খাতুন ও যন্ত্রসংগীতে (তবলায়) শ্রী রণজিত কুমার নন্দীকে নির্বাচিত করেছেন।
পরে আলোচনাসভা শেষে সংস্কৃতির পাঁচ বিভাগে নির্বাচিত গুণী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির পদক তুলে দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক, সনদপত্র, ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন সম্মাননা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ। শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় পাহাড়ী এলাকার ঝুমুর নাচ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভা, সম্মাননা প্রদাণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্তরের গুণীব্যক্তি, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।