 |
লবণের সংকটে গুজবে সাভার-ধামরাই বিভিন্ন এলাকায় লবণ কেনার হিড়িক পড়ে সাধারন ক্রেতার মাঝে। গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিকেলে অনেক ছোট বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন, কোন ধরনের গুজবে কেউ কান দেবেন না বলেও সরকার সচেতন করেছেন।
এসময় বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা দোকানে ক্রেতাদেরকে ২ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত লবণ কিনতে দেখা যায়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কাছে মাঝে উচ্চ মূল্য লবণ বিক্রি শুরু করে। দাম বৃদ্ধির ঘটনায় কিছু কিছু এলাকায় ব্যবসায়ীদের সাথে সাধারণ ক্রেতাদের তর্কবিতর্ক হলেও এসব অসাধু মুদি দোকানদাররা ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
উচ্চ মূল্য লবন বিক্রি করলেও লবন শেষ হয়ে যায় মুদি দোকানে।
লবণের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে সাভারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য পৃথক চারটি টিম কাজ শুরু করে।সাথে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতাও করছে।
১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সহকারী কমিশনার ভূমি (আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে আশুলিয়ার বাইপাইলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় শরিফ স্টোর, সবুজ বাণিজ্যালয় ও ভাই ভাই স্টোর নামে তিনটি দোকানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বেশি দামে কেউ লবণ বিক্রি করলে বা দাম চাইলে ক্রেতাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানা নম্বরে জানানোর বলা হয়েছে।
এসময় সাভারের নামা বাজার, উলাইল, হেমায়েতপুর ও আমিনবাজার এলাকায় বাড়তি দামে লবণ বিক্রির দায়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে দুই ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ঢাকার ধামরাইয়ে লবন সংকটের গুজবে বেশি দামে লবণ বিক্রির অপরাধে ১০ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত
আরো জানা যায়, সাভার নামাবাজার এলাকায় অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রির না করতে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকারিয়া হোসেন।
সাভার পৌরসভা থেকে গুজবে কান না দিয়ে বাড়তি মূল্য লবন না কিনতে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে হাজী আব্দুল গনি।
অপরদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ধামরাইয়ে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কবির মোল্লা।
ক্রেতারা জানান পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রন না হয়ে সেটি উচ্চমূল্যে ক্রয় করায় কয়েকগুন টাকা বেশী গুনতে হয়েছে।তাই লবনের সংকটের গুজব হলেও তারা কিনে নিয়েছেন বেশী দামে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পারভেজুর রহমান ও সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজ আহম্মেদও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দ্রুত সময়ে মাঠে নামলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে রাতের দিকে নিয়ন্রনে আনে লবনের বাজার মূল্য।