 |
ভারতে টেপ দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তিন বছরের এক কুকুরের বাচ্চাকে উদ্ধার করেছে দেশটির পশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষেবা কেন্দ্র। হাতি হত্যার কয়েক দিনের মাথা কেরালায় এই ঘটনা ঘটেছে। পশু নির্যাতনের এই ছবি নাড়া দিয়েছে সবার মনে।
কেরালার থিসুরে দু’সপ্তাহ আগে পশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষেবা কেন্দ্রের একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, উল্লুরে একটি কুকুর রাস্তায় মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। খেতে পারছে না, পানিও মুখে নিতে পারছে না। একটি লাল রঙের টেপ দিয়ে কুকুরের মুখ আটকে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকার কারণে কুকুরটি ভয়ানক যন্ত্রণায় রয়েছে। এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল।
ওই দলের সদস্যরা জানান, কুকুরের বয়স তিন বছর। তারা প্রথমে কুকুরটিকে দেখে মনে করেছিলেন, তার মুখ বাঁধা একটি টেপ দিয়ে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, একাধিক টেপ দিয়ে শক্ত করে কুকুরের মুখ বাঁধা রয়েছে। এতটাই শক্ত করা হয়েছে যে, কুকুরটির মুখে টেপটি বসে গিয়েছে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আর এই কারণে দীর্ঘদিন কুকুরটি কিছু খেতেও পারেনি।
তারা আরো জানান, মুখ খুলে দেয়ার পর চিকিৎসা শুরু করার মুহূর্তেই কুকুরটি নাকি একসঙ্গে দুই লিটার পানি খায়। চিকিৎসা করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে ওই কুকুর ছানা। কিন্তু এমন ভাবে শক্ত করে তার মুখ বাঁধা ছিলো যে, টেপ চামড়া কেটে বসে গিয়েছিল। মাংস বেরিয়ে এসেছিল মুখের। কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কুকুরটির চিকিৎসা করা হয়। প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। আপাতত সেটি সুস্থ অবস্থায় আছে।
তবে উদ্ধারকারী দল জানান, সম্ভবত একটি পোষা কুকুর, কারণ এর কলার আছে। মনে করা হচ্ছে, ক্রমাগত ডাকার অপরাধেই তাঁর মুখ বেঁধে এমন শাস্তি দিয়েছে কেউ!