 |
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফ্লোরা টেলিকমের মানি লন্ডারিং ও রাষ্টায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার সরবরাহ ও সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্বেই দূরভিসন্ধিমূলকভাবে অগ্রণী ব্যাংক ফ্লোরা টেলিকমের সার্ভিস গ্রহনের উদ্দেশ্যে আর্থিক প্রস্তাবনা দাখিল করার জন্য এক পত্রের মাধ্যমে ফ্লোরা টেলিকমকে নির্দেশ দিয়েছে।
গত ১৪/১২/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের ১৪৬১/২০ নং সভায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তমূলে ইস্যুকৃত পত্রের মাধ্যমে ফ্লোরা টেলিকমের সাথে দরকষাকষি সাপেক্ষে নবতর বা নভেশন চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে বাৎসরিক রক্ষনাবেক্ষন মূল্য নির্ধারন করে পরবর্তী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য যে, অগ্রণী ব্যাংকের দুইজন আমানতকারীর দায়েরকৃত এক রিট পিটিশনে গত ৩১/১১/২০২০ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের ক্সদ্বত বেঞ্চে বিচারপতি জনাব মুজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি জনাব মহিউদ্দিন শামীম এর এক আদেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আগামী ২/২/২০২১ ইং তারিখের মধ্যে ফ্লোরা টেলিকমের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং মানি লন্ডারিংসহ ইত্যাদি বিষয়ে তদন্তপূর্ব্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে উক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কার্যμম পরিচালনা করছে। কিন্তু উক্ত তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নবতর বা নভেশন চুক্তির মাধ্যমে ফ্লোরা টেলিকমকে সফটওয়ার সার্ভিস সংμান্ত আর্থিক প্রস্তাবনা পেশ করার নির্দেশনা দূরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নবতর বা নভেশন চুক্তির বিষয়ে আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, নবতর বা নভেশন চুক্তির
মাধ্যমে ফ্লোরা টেলিকমের জায়গায় নতুন প্রতিষ্ঠান যাকেই আনা হোক না কেন নবতর বা নভেশন চুক্তির নিয়ম-নীতি অনুযায়ী প্রতিস্থাপনকারী ও প্রতিস্থাপিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ঐক্যমত থাকা আবশ্যক। এর অর্থ হলো নতুন প্রতিষ্ঠান যাকেই চুক্তিবদ্ধ করা হোক না কেন সেই প্রতিষ্ঠানের উপর ফ্লোরা টেলিকমের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যকীয়। এতে করে দুর্নীতি ও অনিয়মের যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তা পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, এই বিষয়টি মহামান্য আদালতের নজরে আনা অতিশয় জরুরী। মহমান্য আদালতের সদয় হস্তক্ষেপই পারে রাষ্টায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ লোপাট বন্ধ ও সাইবার ঝুঁকি থেকে উদ্ধার এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে।