 |
আল্লাহ, নবী ও রাসুলের অবমাননাসহ ১৩ দফা দাবীতে দেশের কওমী অঙ্গনে সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুগনরীর নেতৃত্বে আসার পর বিগত কাউন্সিলে সারাদেশের জেলা-উপজেলা, নগর ও পৌরসভার কমিটির বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে ফেনী জেলা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) হেফাজতে ইসলামের দূর্গ বলে খ্যাত হাটহাজারী উপজেলা ও হাটহাজারী পৌরসভা শাখার কাউন্সিল পৌর সদরস্থ কনক কমিউনিটি সেন্টারে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মাওলানা এমরান সিকদার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় হেফাজত নেতৃবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা এমরান সিকদার বলেন, পুরোনো কমিটির নিষ্ক্রিয়, বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে সক্রিয়, ত্যাগী, নির্যাতিত নিয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হেফাজত আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। তিনি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে একজন এক পদ এই নীতির কথা সবাইকে স্বরণ রাখার অনুরোধ করেছেন।অর্থাৎ যাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন তাঁরা জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভায় থাকতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, যুগ্ম -মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকগণের সাথে যোগাযোগ রেখে তাঁদের নির্দেশনা অনুসারে কমিটি গঠন করতে হবে।
এদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমেদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছিল। এরমধ্যে কাউন্সিলের গত বছরের ১৫ নভেম্বর সংগঠনটির সাবেক মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে নতুন আমির এবং সদ্য প্রয়াত আল্লামা নূর হোসেন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
সদ্য গঠিত কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রয়াত হন মহাসচিব। নতুন কমিটি গঠনের ১ মাস ১০ দিন পর উক্ত পদে স্থলাবিষিক্ত হন সদ্য গঠিত কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী। স্থলাবিষিক্ত হওয়া মহাসচিবের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে উক্ত কমিটির পরিধি বৃদ্ধি করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে কোন কাউন্সিল ছাড়াই ৮০ নেতাকর্মীকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে হেফাজত নেতৃবৃন্দের মধ্যে দেখা দিয়েছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উক্ত কমিটি ঘোষণার পরপরই প্রয়াত আল্লামা শফির পরিবার তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় দাবী করে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া নেতাদের আসমাী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। এতে হেফাজত নেতৃবৃন্দের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।