নড়াইলের একটি ক্লিনিকে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে অপারেশন করা,চিকিৎিসকের গাফিলতিতে প্রসূতি মায়ের জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.মো.আকরাম হোসেন সহ ইমন ক্লিনিকের মালিক মো.সারোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমের নামে মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী প্রসূতি ঝুমা গেমের স্বামী মাহফুজ নুর রিপন। ২৫ জানুয়ারী নড়াইল সদর নালিশী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। নালিশী আদালতের বিচারক সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেন আমাতুল মোর্শেদা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন।
মামলায় বলা হয়,২৪ ডিসেম্বর ইমন ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করাতে যান সন্তান সম্ভাবা মা ঝুমা বেগম। অপারেশন করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মো. আকরাম হোসেন। ঐ অপারেশনে নি¤œমানের সূতা এবং সামগী ব্যবহার করায় রোগীর তলপেট ফেটে রক্ত বের হয়ে জরায়ূ এবং প্রস্্রাবের নালীতে পচন ধরে।অবস্থা খারাপ হলে খুললনায় নিয়ে ২য় দফা অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলা হয়। এই ভুল চিকিৎসায় চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকেরা যুক্ত। নি¤œমাসের সামগ্রী ব্যবহার এবং চিকিৎসকের গাফিলতির ফলে ৪ লক্ষ টাকা খরচ সহ স্ত্রীর জীবন বিপন্ন হওয়ায় আদালতের কাছে উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন মামলার বাদী মাহফুজ নুর রিপন। মামলার স্বাক্ষী হিসেবে খুলনার গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.শামছুন্নাহার লাকী,নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.সুব্রত কুমার বাগচী সহ ৫জনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইমন সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক মো.সরোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন,আমাদের ক্লিনিকে আমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করি রোগী সুস্থ্য করার জন্য। এখান থেকে চলে গিয়ে রোগীরা অসেচেতনভাবে অনেক কাজ করে যাতে তাদের অন্য কোন সমস্যা তৈরী হতে পারে এতে আমাদের কোন দায় নেই।
মামলার অপর আসামী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.মো.আকরাম হোসেন বলেন,আমি তো অপারেশন ভালোভাবেই করলাম,ঘটনাতো অনেকদিন পরের,এরপর তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে,খুলনায় চিকিৎসা নিয়েছে,কোথা থেকে কি হয়েছে আমি বুঝতে পারলাম না।
এদিকে জেলায় সদ্য যোগদান কারী সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আকতারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান,এ বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানিনা।আমি ছুটিতে আছি, বুধবার(২৭ জানুয়ারী) নড়াইলে জয়েন করে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবো।