ঢাকাই সুপারস্টার শাকিব খানকে পেতে টাকা ওয়ালা প্রযোজকের অভাব নেই। যারা টাকার হিসেব করে না। সিনেমায় লগ্নি করে কালো টাকা সাদা করে। সাম্প্রতিক সময়ে শাকিব খান এমন কয়েকজন প্রযোজকের সঙ্গে সিনেমা করেছেন যারা রয়েছে গোয়েন্দা নজড়দারিতে।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার আব্দুল আজিজ তো দীর্ঘদিন নিঁখোজ। যদিও তার কম্পানি এবং ব্যবসা রয়েছে বহাল তবিয়তে। এছাড়াও যুবলীগের এনামুল হক আরমান ও সেলিম খানের মতো নেতারাও রয়েছে শাকিব খানের প্রযোজকের খাতায়।
গোয়েন্দারা এসব প্রযোজকের সঙ্গে শাকিব খানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। শুধু শাকিব খান নয়, চলচ্চিত্রের আরো বেশ কয়েকজন মানুষ রয়েছে গোয়েন্দা নজড়দারিতে। যাদের টাকার হিসেব দিতে হবে। অবৈধ টাকা সিনেমায় উড়ানো এখন অনেকটাই বন্ধ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমান ক্যাসিনো কারবারের বদৌলতে তিনি বনে গেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক। ‘দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রোডাকশন হাউসের প্রধান কর্ণধার আরমান। সম্প্রতি বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রেখে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আরমান লগ্নি করেছেন কয়েক কোটি টাকা।
শাকিব খানের আরেক প্রযোজক যিনি গোয়েন্দা সংস্থার নজড়দারিতে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। একসময় রিকশা চালিয়ে, কখনও চুরি করে জীবন চলতো সেলিম খান। আর এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক।
সেলিম খানের সঙ্গে এককালীন বেশকিছু সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয় শাকিব খান। যার প্রতিটা সিনেমার জন্য শাকিব খান মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন। সিনেমার বর্তমান অবস্থায় তিনি এই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক কিভাবে দাবি করেন সেটাও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখবে।