ঈদের বাকি আর দুদিন। রাজধানীর শপিংমলগুলো ফাঁকা। ক্রেতা নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। শপিংমলের কাপড় ব্যবসায়ীরা হতাশ। তারা বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রেখেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। বেচাবিক্রি একদম নেই বললেই চলে।
এ অবস্থায় দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দেয়াই কষ্টকর হয়ে যাবে। তাদের মতে, করোনা সংক্রমণের ভয়ে বিত্তবান বা সামর্থবানরা শপিংমলে আসছেন না। বিকল্প হিসেবে তারা অনলাইনে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির কেনাকাটার সামর্থ নেই বললেই চলে। এদের অনেকেই আবার পরিবার-পরিজনকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে ফুটপাত ও ছোট মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা চলছে মোটামুটি। ক্রেতারা জানান, করোনার সংক্রমণের মধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ঈদুল ফিতর। সে সময় কেনাকাটার মতো অবস্থা ছিল না। এবার অল্পের মধ্যে ফুটপাত বা ছোট মার্কেট থেকে তারা কেনাকাটা করছেন।
ব্যবসায়ীদের পরিসংখ্যান মতে, পহেলা বৈশাখ, ঈদুল ফিতর আর ঈদ উল আযহা, বছরের এই তিনটি উৎসবেই ৭০ ভাগ পণ্য বেচাকেনা করেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার কারণে এবার তিনটি উৎসবই ক্রেতাশূণ্য কাটালেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশে শপিংমলগুলো খোলা রাখা হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। কোরবানির ঈদ বলে কেনাকাটা কম। তবে ঈদের কেনাকাটা জমে সন্ধ্যার পর থেকে। যদি ঈদ উপলক্ষে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান রাখা যায়, তাহলে বেচাবিক্রি কিছুটা হলেও বাড়তো।