ছবি: বাংলার চোখ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে। চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাঘবের, কলসপাড় ও যোগানিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছেন। উচু এলাকার পানি কমার সাথে সাথে এলাকায় দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ। ইতোমধ্যে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ছে। এদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এদিকে, উপজেলার পৌরসভা, পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, রাজনগর, মরিচপুরান ও রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের ঢলের পানি নেমে গেলেও এসব ইউনিয়নের আক্রান্ত গ্রামগুলোর ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে। চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর বেড়িবাঁধ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। ভেঙে গেছে কাঁচাপাকা সড়ক। ধ্বসে পড়ছে শতশত পরিবারের মাটির দেওয়াল। ভেসে গেছে শতশত পুকুরের মাছ। এই উপজেলায় গত তিন দিনে বানের পানিতে মানুষ মারা গেছে ৬ জন। বেশ কিছু পরিবার সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তারা সাময়িকভাবে ত্রাণ সহায়তা পেলেও কিভাবে নতুন বাড়ি তৈরি বা মেরামত করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাই ভুক্তভোগীরা স্থায়ীভাবে আবাসন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বানভাসিদের জন্য উপজেলায় ১২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। উপজেলার ৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি বন্যার্ত মাুনষ আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারিভাবে এসব বানভাসিদের জন্য শুকনো খাবার ও বোতলজাত পানি বিতরণ করা হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।