
নিজস্ব ছবি
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ বঙ্গবন্ধুকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি বা জায়গাও যেন খালি পড়ে না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরেই পরিত্যক্ত প্রায় দুই শাতাংশ খালি যায়গা বা জমিতে উন্নত জাতের টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রুকলি, লালশাক ও মরিছসহ নানান জাতের শাক-সবজির আবাদ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি অফিস চত্বরের প্রবেশ পথে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন ফুল-ফলের বাগান। এমন একটি সুন্দর উদ্যোগ নেওয়ায় কৃষি অফিসারকে সাধুবাদসহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় নিয়োজিত বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষকদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যেই মূলত কৃষি অফিস থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুনারুঘাটের সকল কৃষকদেরকে বৃঝাতে চাচ্ছে, প্রত্যেকেই নিজেদের পরিত্যক্ত ভূমি থেকে সব ধরনের ফসল সবসময় উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। সবাই যদি বাড়ির আশপাশ আঙ্গিনাসহ পরিত্যক্ত ভূমি ফেলে না রেখে, পরিত্যক্ত ভূমিতে ফসল উৎপাদনে উৎসাহি হয় তাহলে দেশের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাকা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, এক ইঞ্চি পতিত যায়গাও যেন খালি পড়ে না থাকে। সে নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমি দেখলাম, উপজেলার কৃষি অফিস চত্বরেই পতিত বা খালি যায়গা পড়ে রয়েছে, সে যায়গাতে আমি শাক-সবজি রোপনের মাধ্যমে চাষাবাদ শুরু করেছি। এতে যেমন পারিবারিক পূষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি এখানে যেহেতু সর্বস্থরের সানুষের যাতায়াত, এই চাষগুলো দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের পতিত বা খালি জায়গাগুলোতে শাক-সবজি বা অন্যান্য ফল-ফলাদি চাষাবাদ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া এ কৃষিবিদের আসল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদেরকে দেখানো, যাতে প্রত্যেক কৃষকরা তাদের বাড়ির আশাপাশ আঙ্গিনা পরিত্যক্ত জমিগুলো খালি না রেখে নানা জাতের সবজি চাষ শুরু করে। এই পরিত্যক্ত জমিগুলোতে বছরজুড়েই বিভিন্ন মৌসুমের নানা জাতের বিষমুক্ত সবজি চাষ করে খেতে পারবে। এতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, আপরদিকে জৈবসারে বিষমুক্ত ভালোমানের সবজি খেতে পারবে। এতে দুদিকেই লাভবান হচ্ছে উৎপাদনকারী কৃষকরা।