
নিজস্ব ছবি
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিষয়টি সংবাদ প্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার। আহতরা হলো:- বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য মো. প্রিন্স (৩০), ডিবি সোর্স রিপন ও সাগর। এদের মধ্যে রিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্তরা হলো মুন্সিরহাট এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সৈকত ও আব্দুর রব সহ কয়েকজন স্থানীয় বখাটে। জানা যায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সৈকতকে ধরতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সির হাট বাজার এলাকার জাকারিয়ার চায়ের দোকানের আসেপাশে অবস্থান নেয়। এসময় সৈকত ঐ দোকানেই মাদক বেচাকেনা করছিল। তখন দুজন গোয়েন্দা পুলিশ সৈকতকে ঝাপটে ধরলে আত্মরক্ষার জন্য পকেট থেকে চাপাতি বের করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে। তখন অন্য সদস্যরা দৈড়ে আসলে সৈকত পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের জানা যায়, সৈকতের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং মাদক ব্যবসায়ের সাথে সরাসরি জড়িত। এদের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায়, মাদক, মারামারি, কিশোরী অপহরণ, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সৈকতের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে চায়না। পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, মাদক পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার পুলিশ সন্দেহজনক সৈকত নামে এক যুবককে শরীর তল্লাশি করতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এঘটনায় জিঙ্গাসাবাদ এর জন্য চায়ের দোকানিকে আটক করা হয়েছে।