
নিজস্ব ছবি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি ও রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে ফের টেকনাফে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে টেকনাফ - মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে কার্গো ট্রলার যোগে মিয়ানমারে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফে সফরে আসে । এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন । মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ ।
১৪ জনের প্রতিনিধি দলটি সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬ এ বৈঠকে বসেন। সেখানেই রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনের ১৫ টি গ্রামে রাখার প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির আশ্বাস দেওয়া হয় বলে জানান সাক্ষাতে মিলিত হওয়া রোহিঙ্গারা।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা জানান- প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাদের জন্য মিয়ানমারে কি কি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে সে বিষয়ে আলাপ করেছেন। সাক্ষাৎ শেষে ফিরে গেছেন প্রতিনিধিদল।
২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি হোসাইন আহমদ বলেন, যাদের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তারাই সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে প্রতিনিধি দলের সাথে। সাক্ষাতকারে মিয়ানমারে গেলে পড়াশোনার জন্য স্কুল, কর্মসংস্থানের সুযোগ, চাষাবাদের জন্য জমি, মাছ আহরণ, এনভিসি কার্ড নিয়ে পর্যায়ক্রমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে।
এদিকে অনেক রোহিঙ্গা দাবি তুলছে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য । তারা যত দ্রুত মিয়ানমারে ফিরতে চাই। এই বন্ধি জীবনে থাকতে চাই না।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন । এর আগে ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে । সে সময় প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় প্রতিনিধি দলটি ।
আরো উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩২ টি ক্যাম্পে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস করে আসছে। তাদের রাখাইনে ফেরত নিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার । চুক্তি স্বাক্ষর করলেও রোহিঙ্গাদে নিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ও চীনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি । এই কমিটি দুটি সভা করলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি ।