
ছবি-সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা ও ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করে। এতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের মারধরের শিকার হন অন্তত ১০ সাংবাদিক। পুলিশ তাদেরকে লাথি দিয়েছে ও লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় কয়েকজন সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের করা মামলায় সাংবাদিকদের মারধর করার কোনো তথ্য নেই।
মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি–জামায়াতপন্থী ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র ফাঁকা করে ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করে। পরে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক হয়। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্যান্ডেল এবং ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২ দিনব্যাপী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ৭টা থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ছিল শত শত পুলিশের উপস্থিতি। এছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। যা বৃহস্পতিবার আরও বাড়ানো হয়।
ভোটের দ্বিতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি ছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এদিনও পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আইনজীবীরা। ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে। সকাল ১০টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দেন আইনজীবীরা।