প্র্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩:৪২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে আটকিয়ে রাখা নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সাতজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফের কেরনতলীতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) ও বড় ডেইল এলাকার হেলাল উদ্দীন (৩০)।
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা হলেন- তসলিমা (২৫), মো. সোহাইল (৪), হোসেনা বিবি (৫), হাসনা (১৮), শাহিদা (১৯), বশির আহমেদ (২৬) এবং উখিয়ার ইনানী জালিয়াপালং এলাকার নুর মোহাম্মদ (৪০)।
স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, পূর্বে আটক পাচারকারীদের তথ্য ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজনকে গহিন পাহাড়ে আটক রাখা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাহারছড়া সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চলে কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। পরে পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।
কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা বলেন, 'টেকনাফ সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং বিনা অর্থে প্রেরণের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদেরও জড়ো করত। পরে পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।'
উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠাতে ও মানব পাচারকারীদের টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান, লে. কমান্ডার মো. সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর।
উল্লেখ্য, গত দুমাসে টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন সময় গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ১৯৮ জনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।