
নিজস্ব ছবি
মোংলায় লাখ টাকা যৌতুকের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় স্বামীর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে হাসপাতালের বেডে কয়েকদিন ধরে কাতরাচ্ছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকার বাসিন্দা মৃত আলকাজ হাওলাদারের ছেলে আসলাম আসলাম হাওলাদারের (৩১) সাথে বিয়ে হয় বাগেরহাটের মোড়েলগন্জ উপজেলার জিউধারার বয়ারশিং গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের মেয়ে সোনিয়ার (১৯)। ৭ মাস আগে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকে স্বামী আসলাম ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী সোনিয়াকে নির্যাতন করে আসছিলো। এভাবে কয়েক মাস ধরে চলে আসে নির্যাতন। সর্বশেষ গত শনিবার সকাল ৯টায় আসলাম তার স্ত্রী সোনিয়াকে ওই যৌতুকের দাবীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে সোনিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম এসে তাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে ওইদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনদিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন ওই স্ত্রী।
নির্যাতনের শিকার সোনিয়া বলেন, আমার বাবা নেই, আমরা গরীব মানুষ। কিভাবে তাকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দিবো। এনিয়ে বিয়ের পর থেকে আমার সাথে ঝগড়াবিবাদ ও মারধর করে আসছিলো স্বামী আসলাম। গত শনিবার আবারো সেই টাকা চেয়ে আমাকে বেদমপারপিট করে। আমার সারা শরীরের কোথাও মারতে বাকী রাখেনি। তিনদিন ধরে হাসপাতালে আমার খোঁজও কেউ নিতে আসেনি। স্বামী আসলাম এখনও ফোন করে যৌতুকের সেই ১ লাখ টাকা চাইছেন। এ টাকা দেয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের নেই।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নির্যাতনের শিকার সোনিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম রবিবার রাতে আসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে আসলাম বলেন, এসব মিথ্যা, আমার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধর করিনি, এটা পারিবারিক বিষয়।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।