
নিজস্ব ছবি
চর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইয়ামিন কে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সহপাঠী ছাত্র ছাত্রীরা হত্যাকারীর ফাসিঁর দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় মানববন্ধন সহ বাজারে বিক্ষোভ করেছে।
গত সোমবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮ টার সময় দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ চর আইচা গ্রামে মৌলভী বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ইয়ামিনের মামা মো. হাছান আলী জানান, আমার ভাগিনা ইয়ামিনকে কামাল, রাকিব,হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরো জানান, সামনের বাড়ির কামালের মেয়ে লাবনীর সঙ্গে ইয়ামিনের কোনো সম্পর্ক ছিল না কিন্তু ইয়ামিনের চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে লাবনীর প্রেমের সম্পর্ক থাকায় রাকিব ইয়ামিনকে সন্দেহ করত । ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে লাবনীর বাবা কামাল হোসেন রাকিবের মাধ্যমে ঘর থেকে ইয়ামিনকে বাড়ির সামনে বেড়িবাঁধের ওপর ডেকে নেয়। এরপর রাকিব ও কামাল সহ অনেকে ইয়ামিনকে জুতাপেটা ও বেধড়ক মারধর করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। রাতে ইয়ামিনের স্বাস্থের অবনতি ঘটলে তাকে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। রাত ৮টার দিকে পাশের বাড়ির আবুল হোসেন ব্যাপারীর পুত্রবধু ইয়ামিনের গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ সহ ইউডি মামলা গ্রহন করেছে।
এ ঘটনার পর রাকিব, লাবনী ও লাবনীর বাবা কামালসহ অনেকে পলাতক রয়েছে।
দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নেসার উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়ামিনের লাশ তাদের ঘরে দেখতে পাই। ইয়ামিনের শরীরে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়েছে । তিনি আরও জানান, লাবনীর সঙ্গে ইয়ামিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমন একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ইয়ামিনের পরিবারও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে ঘটনাটির প্রকৃত কারন জানা গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।