
.
ঝালকাঠির বাউকাঠি বিন্দুবাসীনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও পূর্নর্মিলনি উদযাপনে ব্যপক অবব্যবস্থাপনা ও এলাকার শিক্ষানুরাগীদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুও এ বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে এই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেনকে অনুষ্ঠানে না দেখে তিনি আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুক্রবার দুপুরে স্কুল ক্যাম্পাসে শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রেকর্ড করে মাইকে জাতীয় সংগিত পরিবেশন করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হবার পরে দুপুরের খাবারে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অনেক সাবেক শিক্ষার্থীই খাবার পায়নি। এ নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায় ঝালকাঠির বাউকাঠি বিন্দুবাসীনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূতি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষাথীরা অংশ নেন। সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয় রেজিষ্টেশন ফি। এছাড়া এর বাইরেও দেশ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে থেকে অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ডোনেশন নেয়া হয়। তবে বিপুল বাজেটের এ অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে আগতরা।
অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনার বিষয় জানতে চাইলে শতবর্ষ পূর্তি ও পুর্ণমিলনি উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও নবগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ বলেন, সাবেক সভাপতিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তারা সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারনে তিনি আসেননি। আর একটা বড় অনুষ্ঠান করতে গেছে ভুল ত্রুটি হতে পারে। কমিটির সকলের সহযোগীতা না পাওয়ায় অনুষ্ঠানে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।