Banglar Chokh | বাংলার চোখ

আটঘরিয়ায় সরকারি বই বিক্রির অপচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৮ মার্চ ২০২৩

আটঘরিয়ায় সরকারি বই বিক্রির অপচেষ্টা

নিজস্ব ছবি

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের গোপালপুর চৌকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রির অপচেষ্টার  অভিযোগ উঠেছে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ও নিরাপত্তাকর্মী মিন্টু হোসেনের বিরুদ্ধে। 

এ সময় ঘটনার ভিডিও করতে গেলে জাহিদু ইসলাম নামের একজন যুবককে ধাক্কা মেরে ফোন কেড়ে নেয় তারা। শুক্রবার সকাল এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীর মাঝে ঘটনা জানাজানি হলে তাদের বই বিক্রির অপচেষ্টা ভেস্তে যায়।

অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি বই (প্রায় দশ মণ) বিক্রি করে দিচ্ছিলেন  স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ও নিরাপত্তাকর্মী মিন্টু হোসেন। তারা বইগুলো স্কুল থেকে বের করে দেন। একজন ভ্যানচালক বইগুলো বস্তায় ভরে ভ্যানে তুলছিলেন। 

খবর পেয়ে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী মিন্টু। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইলও কেড়ে নেন তিনি। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মোবাইল ফেরত দেন। এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা জানাজানি হলে ভেস্তে যায় তাদের বই বিক্রির অপচেষ্টা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী মিন্টু হোসেন বলেন, অনেকদিনের পুরোনো কিছু বই, বেশি না, ৩ থেকে ৪ মণ হবে, এগুলো স্কুলের শিক্ষকরাই বিক্রি করে দেবার কথা বলেছিলেন। তাই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছিল। সাথে সহকারি প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরে অবশ্য বাধার কারণে বিক্রি করা হয়নি। তিনি একজনকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল কেড়ে নেননি দাবি করে বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। 

স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ইমান আলী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকই বিক্রি করে দিতে বলেছিলেন। খুব বেশি না, অল্পকিছু পুরোনো বই-খাতা বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে, বিভিন্নজনের বাধার কারণে আর বিক্রি করা হয়নি। সব বই স্কুলে রাখা হয়েছে। সরকারি বই এভাবে বিক্রি করতে পারেন কি না জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আখের উদ্দিন বলেন, আমি অসুস্থ্য, ছুটিতে বাসায় আছি। স্কুলের বই বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। সরকারি বই বিক্রির ঘটনা তিনি শোনেননি বলে দাবি করেন। 

স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মহান বিশ্বাস বলেন, সারাদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। স্কুল থেকে সরকারি বই বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। বই বিক্রির কোনো সিদ্ধান্তের কথা তো আমার নলেজে নাই। আমাকে কেউ জানায়নি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাজাহান আলীর মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়