
নিজস্ব ছবি
খুলনার পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ ৩শিক্ষক আবাসিক করেছেন। বাড়ি ভাড়া ফাঁকি দিয়ে শ্রেণি কক্ষে বসবাস করছেন এমন খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ দে ও সহকারি দিপংকর সরকার (ভূগোল) এবং ভারত চন্দ্র সরকার (বাংলা)। খবর প্রকাশের পর বিষয়টি টক অব দ্যা টাউন। খবর প্রকাশের পূর্বে স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান। কিন্তু বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী, তাদের অবিভাবক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের দেওয়া তথ্য অনুসন্ধানে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সাংবাদিকরা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ দে ও সহকারি ভুগোল শিক্ষক দিপংকর সরকার এবং সহকারি বাংলা শিক্ষক ভারত চন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন তেমনি বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও নষ্ট হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষকরা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানকে জানিয়ে আমরা এখানে বসবাস করছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি কেউ থাকে তা বে-আইনী ও গুরুতর অপরাধ। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাই অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বসবাসের আইনগত কোনো সুযোগ নেই আর কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। খবরটি সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযুক্ত ঐ ৩ শিক্ষক স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা জান-মালের নিরাপত্তাহীনতা সহ পেশাগত ঝুঁকির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।