
বলিউড অভিনেত্রী এশা গুপ্তা। ছবি: সংগৃহীত
শোবিজ অঙ্গনে প্রায়ই কাস্টিং কাউচ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে অনেক অভিনেত্রীই ইতোমধ্যে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী এশা গুপ্তা।
২০১২ সালে ‘জান্নাত-টু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এশা। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। বলিউডে এশা কাজ পেলেও তার যাত্রা মসৃণ ছিল না। তাকে প্রতিনিয়তই পড়তে হয়েছে নানান ঝামেলায়।
এ সম্পর্কে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে এশা জানান, তিনি দুইবার কাস্টিং কাউচের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি সিনেমার সহ-প্রযোজক তাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিনেমার অর্ধেক কাজ হয়ে যাওয়ার পর তাকে বলা হয়, যদি নায়িকা হিসেবে এশার কাছ থেকে কোনো সুবিধা না নিতে পারে, তবে তাকে নিয়ে সেই প্রযোজকের লাভটা কী! এমন মন্তব্যের পর এশা গুপ্তা আর ওই সিনেমাটি করেননি। কিন্তু তাতেই বাধে বিপত্তি! এই ঘটনার পর অনেক সিনেমা থেকেই বাদ পড়তে থাকেন অভিনেত্রী।
এছাড়া একটি সিনেমার আউটডোর শুটিং করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। এশা বলেন, ‘দুজন লোক ছিলেন, যারা আমাকে সমস্যায় ফেলতে চাইছিলেন। আমি বিপদ বুঝতে পেরে ফন্দি আঁটি। জানিয়ে দিই, আমি একা ঘুমাবো না, মেকআপ আর্টিস্ট আমার সঙ্গে থাকবেন।’ এভাবেই সে যাত্রায় নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এশা গুপ্তা।
অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি কোনো ফিল্মি পরিবার থেকে বা বিখ্যাত পরিবার থেকে বলিউডে আসেননি। সেকারণে প্রায়ই তাকে ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। নতুন কোনো সিনেমায় কাজ পেতেও সমস্যা হয়। এশার কথায়, তারকা সন্তানদের সাধারণত এধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না। লোকজন জানেন তারকা সন্তানদের এধরনের প্রস্তাব দিলে বিপদে পড়তে হবে। তাই স্টার কিড না হওয়ায় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অকারণেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ তারকাদের।