
.
আগামী শুক্রবার ১২ মে কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে শিক্ষার্থী ইয়াসিন মোহাম্মদ খান ফাহিম (২৬) এর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছবে ।
এর আগে ফাহিমের প্রথম জানাজা আগামী বুধবার ১০ মে কানাডার মন্ট্রিয়ালে কুইবেক ইসলামিক সেন্টার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ তার্কিস এয়ারলাইন্সের করে ঢাকায় পাঠানো হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মরহুম ফাহিমের মামা সংবাদিক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ।
তিনি আরো জানান, মরদেহ শাহজালাল বিমানবন্দর হতে সরাসরি ফাহিমের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধুপুর থানার আন্দিউড়তে। সেখানে বাদ জুম্মার নামাজের পর তার দ্বিতিয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা দাদির পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস ফাহিমের মৃতু দেহ দেশে পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে। দূতাবাসের পক্ষ হতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। দূতাবাসের পক্ষ হতে কাউন্সিলর অপর্ণা পাল প্রতিদিন ফাহিমের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং ফাহিমের দেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ।
মন্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কমিউনিটি সহ কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় ফাহিমকে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে ও ফাহিমের পরিবারের প্রতি সমবেধনা ও দুঃখ প্রকাশ করে মন্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মনিরুজ্জামান ( মনির ) বলেন, ফাহিমের মৃতুতে গোটা মন্ট্রিয়াল শোকাহত সমবেদনা জানাবার ভাষা নেই তবে ফাহিমের মৃত্যু আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে গিয়েছে ।
সিলেট জালালাবাদ এশিয়সনের পক্ষ ফাহিমের মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এশিয়াসনের ফেসবুক পেইজে এক পোষ্ট দিয়ে বলেন ফাহিমের মৃতুতে গোটা সিলেট বাসী শোকাহত পরিবার কে সমবেদনা জানাবার ভাষা নেই।
এসময় জালালাবাদ এশিয়াসনের সাধারণ সম্পাদক ও বিটকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ফাহিমের বাবা জসিম উদ্দিন খানেকে ফোন করে খোঁজ খবর নেন এবং সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষ দিকে কানাডার মন্ট্রিয়লে ইয়াসিন মোহাম্মদ খান ফাহিম (২৬) নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ মন্ট্রিয়লের ডাউনটাউনের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ।তিন বছর ধরে সে মন্ট্রিয়লে বসবাস করছিল।