আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০০:৩৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী প্রিটোরিয়ার পশ্চিমে সাউলসভিল টাউনশিপে একটি হোস্টেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে সংঘটিত এই হামলায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেঙ্গা মাথ্যে জানান, অন্তত তিনজন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী একটি হোস্টেলে ঢুকে সেখানে থাকা লোকজনের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। ওই সময় সেখানে একদল মানুষ মদ্যপান করছিল।
হামলার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অপরাধপ্রবণ এই দেশটিতে একের পর এক এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটছে—এটি তারই সর্বশেষ সংযোজন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে হামলাকারীরা ওই স্থাপনায় ঢুকে গুলি চালায়। নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর ও ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীও রয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার মাথ্যে বলেন, আমি নিশ্চিত করছি, মোট ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছে।
হোস্টেলটিকে একটি ‘অবৈধ শিবিন’ (অননুমোদিত মদের আড্ডা) হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন মদ বিক্রির স্থানগুলো বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনাই এমন স্থানেই ঘটে।
ব্রিগেডিয়ার মাথ্যে আরও বলেন, এতে নিরীহ মানুষও গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসএবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের অন্যতম উচ্চ হত্যার হার বিদ্যমান। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর (ইউওডিসি)-এর ২০২৩–২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৪৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৬৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি