
নিজস্ব ছবি
আমি ভিক্ষা চাই, তোমার দরবারে, বাবা মৌলারে, ভিক্ষা চাই তোমার দরবারে, বড়ই গাছের তলে, দেখ মিনিয়া সকলে, কি সুন্দর আনন্দ মেলা ভোর সকালে। এমন আধ্যাতিক হাজারো গানের রচয়িতা এমরুল কয়েস ২৩তম লোকউৎসব সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রতিবছর উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামে কবি সাহিত্যিক, গীতিকার, কন্ঠ শিল্পি, গনমাধ্যম কর্মীসহ হাজারো ভক্ত বৃন্দের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
বুধবার সকাল থেকে দিন ব্যাপী এমরুল কয়েস লোক উৎসবে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা গীতিকার ডা: এমরুল কয়েস। বিছনা গ্রামের সমাজকর্মী মো: উজ্জল টিটুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ। প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্ব জিত দেব। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাকন্দ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মো: খালেদ মিয়া, জেলা কালচারাল অফিসার মনজুরুল হক চৌধুরী, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখতারুজ্জামান তালুকদার, বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার, মোহাম্মদ আলী, গীতিকার মনোয়ার আলী, ইসলামগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ফজলুল হক দোলন, কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সহিদ, জামালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: ওয়ালী উল্লাহ সরকার, সিনিয়র সাংবাদিক ও হাওর বাচাও আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ, জামালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব।
লোকউৎসবে নিজ উপজেলা ছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে হাজারো ভক্তবৃন্দের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রাম। এমরুল কায়েস লোক উৎসবের আয়োজনে জামালগঞ্জের বিছনা গ্রামে প্রতিবছর চৈত্রমাসের পহেলা বুধবার শুরু হয় বাউলদের মিলনমেলা। শুধু বাউলই নয় এযেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা পেশার মানুষ এসে আনন্দ উপভোগ করে এই লোক উৎসবে।
আলোচনা শেষে মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিল্পিরা সংগীত পরিবেশন করেন। লোকউৎসবকে কেন্দ্র করে হাওর জনপদে জামালগঞ্জে খ্যাতিমান বাউল শিল্পিদের আগমন ঘঠে এই উৎসবে। শাহ আব্দুল করিম, হাছন রাজা, রাধারমন ও এমরুল কয়েসের গানে গানে মাতোয়ারা হয়ে উঠে উৎসব।
লোকউৎসবের প্রতিষ্ঠাতা এমরুল কয়েস বলেন সত্য সাহিত্যকে আধ্যাতিক চেতনার মাধ্যমে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে ও সকল প্রকার পাপ কাজ হিংসা, বিদ্দেশ দুর করে সমাজে খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লোকউৎসবের মূল লক্ষ্য। ২৩ বছর পূর্ব থেকেই বিছনা গ্রামে লোকউৎসব শুরু হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ্এই উৎসব চলে আসছে। দিনে দিনে এই উৎসবের দিনটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে।