
ছবি:সংগৃহীত
মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয়ের খোঁজে যাওয়া সদ্য সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মেদ ভূঁইয়া পরিবারসহ বাসায় ফিরেছেন। তিনি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘বিচারিক হয়রানি’র প্রতিবাদ জানানোর কারণে বরখাস্ত হন। পরে আশ্রয়ের জন্য শুক্রবার বিকালে এমরান আহমেদ তার পরিবারসহ ঢাকার বারিধারাস্থ মার্কিন দূতাবাসে যান। পরে রাতে তিনি বাসায় ফিরেন।
মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে তার কোনো ক্ষতি হবে না, সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এমরান আহম্মদ আরও বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ পাহারা রয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে শুক্রবার বিকালে স্ত্রী ও তিন কন্যাসন্তানকে নিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নেন এমরান। তখন এমরান আহম্মদ জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছেন। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে তাদেরকে বসতে দেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়। এর পরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি টিম বাসায় প্রবেশ করে। প্রায় আধাঘন্টা এমরানের সঙ্গে কথা বলে তারা বের হয়ে আসেন।
মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার সন্ধ্যায় বলেন, এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে আপডেট জানানোর মতো কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় এমরান বলেন, আমি পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য মার্কিন দূতাবাসে বসে আছি। বাইরে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। আজ আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন ধরে অনবরত হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে।
আমার আমেরিকার ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে সামান্য কাপড় নিয়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোমতে বাসা থেকে বের হতে পেরেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।