.
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেছেন ৪৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এ দাবি জানিয়ে তারা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় ‘অসত্য ও বিকৃত তথ্য’ প্রচারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনাল।
দীর্ঘদিন যাবত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশ করে আসা অধিকার-এর শীর্ষ দুই মানবাধিকার কর্মীকে শাস্তির মুখোমুখি করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, এ ঘটনা মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে এবং মানবাধিকার কর্মীদের নিরুৎসাহিত করবে।
আমরা অবিলম্বে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করছি। একই সাথে মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার দাবি জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সকল হয়রানির অবসান চাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন-
হোসেন জিল্লুর রহমান, সমাজবিজ্ঞানী;
ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী;
আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব;
ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি;
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ;
ড. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন;
পারভীন হাসান, ভাইস চ্যান্সেলর, ন্যাশনাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি;
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ;
অধ্যাপক সি আর আবরার;
সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র এ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট;
শাহ্দীন মালিক, এ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট;
তাবারক হোসাইন, সিনিয়র এ্যাডভোকেট সুপ্রীম কোর্ট;
ড. শহিদুল আলম, ফটোগ্রাফার;
ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
সারা হোসেন, এ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট;
শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এ এল আর ডি;
শারমিন মোর্শেদ, অধিকার কর্মী;
নুর খান লিটন, মানবাধিকার কর্মী;
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এ্যাডভোকেট সুপ্রীম কোর্ট;
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, এ্যাডভোকেট সুপ্রীম কোর্ট;
জাকির হোসেন, মানবাধিকার কর্মী;
সঞ্জিব দ্রং, মানবাধিকার কর্মী;
রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও অধিকার কর্মী;
রাহনুমা আহমেদ, লেখক;
শিরিন হক, মানবাধিকার কর্মী;
নায়লা খান, শিশু বিশেষজ্ঞ;
ড. স্বপন আদনান, ভিজিটিং প্রফেসর, লন্ডন স্কুল এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স;
সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন;
রোজিনা বেগম, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ফেলো, মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ড;
মো: মাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়;
তাসনিম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ;
রুশাদ ফরিদি, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
ড: বিনা ডি’কস্তা, অধ্যাপক, দ্য অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি;
সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
ড. নায়মা হক, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
ড. মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাট্যকার ও অভিনেতা;
হানা শামস্ আহমেদ, এ্যানথ্রোপোলজি বিভাগ, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা;
সায়েমা খাতুন, গবেষক;
মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক;
সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ও গবেষক;
অরূপ রাহী, সঙ্গীত শিল্পী ও চিন্তক;
নাসের বখতিয়ার, সিনিয়র ব্যাংকার, সাবেক এমডি অগ্রণী ব্যাংক;
মুক্তাশ্রী চাকমা, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক;
নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী;
ড. নাওমি হোসেন, সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন;
সাদাফ নুর, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক;
সেলিম সামাদ, মিডিয়া অধিকার কর্মী;