Banglar Chokh | বাংলার চোখ

সুপ্রিম কোর্টে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৬ মার্চ ২০২৩

সুপ্রিম কোর্টে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব ছবি

সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বপালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এর আগে মিছিল নিয়ে নগরীর কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড এলাকা প্রদক্ষিণ করেন সাংবাদিকরা।

সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘নির্যাতিত নাগরিকরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আশ্রয় চায়। আজ সুপ্রিম কোর্টও নিরাপদ নয়, সেখানে সাংবাদিকদের নির্বিচারে পেটানো হচ্ছে। আইনজীবীরা মার খাচ্ছেন।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সালেহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি বাছির জামাল, রাশেদুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ বেগম পলি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, মহসিন হোসাইন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্মসম্পাদক শাহজান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, দপ্তর সম্পাদক ডিএম অমর, রফিক লিটন, জেসমিন জুঁই প্রমুখ।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে গতকাল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মহড়া হয়ে গেল। আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকেই অনুমেয়। মানুষের শেষ ভরসাস্থল আদালতেও আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়ায় আজ আইনজীবীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে। বিচারকরা বসে বসে তামাশা দেখছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

এই সাংবাদিকনেতা বলেন, ‘আদালতের যদি এই অবস্থা হয়, মানুষ কার কাছে যাবে? কোথায় বিচার পাবে? আজ দেশের নাগরিকরা পুরোপুরি অসহায়।’ 

এম এ আজিজ বলেন, ‘দেশে চরম ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। প্রবল দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম এবং সরকারের গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যেন কোনো আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এই আইন সাংবাদিকতাকে শেষ করে দিয়েছে।’ 

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নয়, তারা শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয়পত্র, মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তাদের টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।’ তিনি দাবি করেন, ‘বিরোধীমতের আইনজীবীদের ওপর হামলা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ছবি ও নিউজ যাতে সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়