ঢাকা, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ জনের লাশ উত্তোলন শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪:৩৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ জনের লাশ উত্তোলন শুরু

ছবি :সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন শুরু।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তের লক্ষ্যে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ।

আজ থেকেই লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। লাশগুলো উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং পুনঃদাফন যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।

ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘এই কবরস্থানে যারা নাম-পরিচয়হীন অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাদের পরিচয় তখন যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তাদের পরিচয় উদঘাটন করা জাতির প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব। আজ সেই মহান কাজের সূচনা হলো।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা (ওএইচসিএইচআর) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। অজ্ঞাত শহীদদের পরিবার আবেদন করেছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে এসব কাজ পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে কবরস্থান থেকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে।’

সিআইডি প্রধান জানান, ‘লাশ শনাক্তের জন্য ইতিমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে শহীদের সংখ্যা ১১৪ জনের বেশি। প্রকৃত সংখ্যা লাশ উত্তোলনের পর জানা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাশগুলোর পোস্টমর্টেম করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনঃদাফন করা হবে।’ 


মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্ত হলে, পরিবার চাইলে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ডিএনএ সংগ্রহের পর, যে কেউ আবেদন করলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।’

গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন