
নিজস্ব ছবি
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই ইছামতি নদী নিয়ে ভেবেছে। কিন্তু কেন সেই ভাবনা বাস্তবায়ন হয়নি সেটি বলতে চাইনা। তবে সবার চিন্তা-চেতনা, চাওয়া-পাওয়া মিলিয়ে ইছামতি নদী উদ্ধার ও খনন করে সবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে সবার স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। এজন্য দখলদারী মনোভাব থেকে পিছিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলা পরিষদের রশিদ হল মিলনায়তনে পাবনার সুধীসমাজের প্রতিনিধি কর্তৃক আয়োজিত ইছামতি নদী পূনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, শহরের সকল পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ইছামতির নদীর যেটুকু আছে, সেটুকু ঘিরে দৃষ্টিনন্দন করা দরকার। নদীর নাব্যতা ফেরাতে, সৌন্দর্য বর্ধন করতে হবে। কর্মসংস্থানের খাত সৃষ্টি করতে হবে। যুগ যুগ ধরে নেতৃত্বের ব্যর্থতা, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে ইছামতির নদীর আজ এ অবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থরা এগিয়ে আসবেন, আমরা যাবো। ইছামতি নদী সচল দেখতে চাই। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। ভবিষ্যত পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। বিভেদ করে পাবনার উন্নয়ন পিছিয়ে গেছে।
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সমাজ হিতৈষী মুসতাক আহমেদ সুইট প্রমুখ। সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে ইছামতি নদী ঘিরে উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন ও মুস্তাক আহমেদ সুইট।
মতবিনিময় সভায় পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পদ্মা নদীতে সেতু হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে যেভাবে পূনর্বাসন করা হয়েছে। তেমনিভাবে ইছামতি নদী ঘিরে সরকারি উদ্যোগ নেয়া গেলে আমরা সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখতে পারি। ক্ষতিগ্রস্থদের একসাথে নিয়ে সবার সম্মিলিতভাবে ইছামতি নদীকে সুন্দর করা সম্ভব। সবার সাথে মতবিনিময় করে ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসন করে সুন্দরভাবে কাজ করা সম্ভব।
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, ইছামতি নদী যদি পরিষ্কার করে পাবনাবাসীর জন্য চিত্ত বিনোদনের জন্য তুলে ধরতে চাই তাহলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। আর সরকারি উদ্যোগ থাকতে হবে। তাহলে পাবনাবাসীকে সুন্দর একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নদী উপহার দেয়া যাবে। ইছামতি নদী যতটুকু আছে ততটুকু নিয়েই সুন্দর করে তোলা সম্ভব। এটা নিয়ে ভাঙা গড়ার খেলা আর দেখতে চাইনা, চোর পুলিশ খেলতে চাই না। সবাই একসাথে থাকতে চাই। নদীর দুইপাড়ে ওয়াকওয়ে করে সুন্দর পরিষ্কার একটা নদীর জন্য আমার সহযোগিতা সবসময় থাকবে।