Banglar Chokh | বাংলার চোখ

শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন বলেই দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই:আমু

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২২:৫৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন বলেই দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই:আমু

নিজস্ব ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা, সাবেক শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রী, ১৪ দলের সমান্বয়ক ও মুখপাত্র ঝালকাঠি-২আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু বলেছেন,শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন। দেশে খাদ্যের অভাব নেই। আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল উন্নিতি হয়েছে।

১৯বার শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নির্মাম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ তার বোন দেশে না থাকার কারনে তারা সেদিন বেঁচে ছিলেন। হত্যাকারীরা তাদের অসম্পূর্ন কাজ করতে বারবার হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। একটি জীবনের মুল্যের সাথে যখন ১৮ কোটি মানুষের জীবনের মূল্য জাড়িত রয়েছে, সে কারনেই মহান রব্বুল আলামিন তাকে বাচিয়ে রেখেছেন।

নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারনে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পিসটি পুরস্কার পেয়েছেন। আমির হোনেন আমু ঝালকাঠি সরকারী মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান পুরস্কার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু আরও বলেন, ‘১৯৪৮ সালে যখন মোহাম্মদ আলী খান জিন্নাহ পাকিস্তানের গভার্নর হিসাবে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে উর্দূই হবে পকিস্তানের একমাত্র মাতৃভাষা ঘোষনা দিলেন’ তখন ভাষা আন্দোলনের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম প্রতিবাদ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র হিসাবে বঙ্গবন্ধু তার সহপাটিদের নিয়ে সেই প্রতিবাদকে আন্দোলনে পরিনত করার জন্য প্রথমে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী ছাত্রলীগ সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি ১১মার্চ ভাষার দাবীতে রাজপথে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুসহ ৬৯জন গ্রেপ্তার হন। এই আন্দোলনে যে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উম্মেস ঘটেছিল সেই পথ ধরেই ক্রমান্বয় এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে ছিলেন। আজকে আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, অনেক কলেজ স্কুল কিন্তু পাকিস্তানের ২৩ বছরে মাত্র ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এমনি ভাবে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ছিলাম অবহেলিত, বঞ্চিত ও শোষিত। এগুলো বঙ্গবন্ধু বুঝিয়ে ছিলেন জাতিকে যে কিভাবে আমাদের পাকিস্তানীরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত করেছিল। আজকে ভাষা আন্দোলনের সেই মাসে নবীন ছাত্রীদের বরন করে নিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নবীন বরন। তাই নবীনদের আজ শপথ নিতে হবে এই ভাষা ও জাতির মর্যাদা রক্ষার জন্য নিজেদের সেই ভাবে তৈরী করার।  
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রুপদান হয়েছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা ডিজিটালের সুযোগ সুবিদা পাচ্ছে। গরিব দেশের ছেলেমেয়েরা মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করতে পারে। ল্যাপটব ব্যবহার করতে পারে। শেখ হাসিনা এই সুযোগ সুবিদা দিয়েছেন। বিরোধীরা ষরযন্ত্র করে বলেছিল যে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। আজকে শিক্ষা নীতির কারনে  মাদ্রাসা শিক্ষার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। তারা শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারসহ বিভিন্নস্থানে ভুমিকা রেখেছে। তারা প্রপাগন্ডা মিথ্যচারের মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা করেছে, তারা চিহিৃত। তারা এই দেশের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারেনা। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে পারেনি। তারা এই দেশের বিভিন্নস্থানে অগ্নি সংযোগ করে একটা ধংস্বস্তুপ করেছে।  আজকে সময় এসেছে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তাদের থেকে সর্তক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. শামিম আহসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম, জেলা প্রসাশক মো. আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সিভিল সার্জন ডা. এরইচ এম জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, নলছিটি উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ এসএম ফজলুল হক, চেম্বর অফ কমার্স সভাপতি মনিরুল ইসলাম তালুকদার।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঝালকাঠি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের কারিগরি শিক্ষার নতুন ভবনের নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন আমির হোসেন আমু এমপি। আনুষ্ঠানিকভাবে এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করে কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খানসাইফুল্লাহ পনির, সদও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, প্রকল্প শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রৌকশলী শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক সুব্রতপাল উপস্থিত ছিলেন। ৭ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ৬৪ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ ও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্ত এর বাস্তবায়ন করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভ‚মিকা পালন করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬টি কম্পিউটারাইজড, ৬টি ওয়ার্কশপ থাকবে এবং সেখান থেকে কারিগরি শিক্ষার উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ৭ তলার এই একাডেমিক ভবনেটি সার্স রুম, হলরুম এবং আধুনিক লিফট থাকছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়