স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৫১, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জোড়া শিরোপার সঙ্গে রংপুর বিভাগের ক্রিকেটাররা। ছবি : বিসিবি
সপ্তম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল বিভাগের মুখোমুখি হয় সিলেট বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ম্যাচটি ড্র হয়। তাতে, ২৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শিরোপা জিতে নেয় রংপুর বিভাগ। এই নিয়ে তৃতীয়বার এনসিএলের দীর্ঘ সংস্করণের শিরোপা ঘরে তুলল রংপুর। একইসঙ্গে চলতি মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ‘ডবল’ শিরোপা পূর্ণ করল দলটি। গত অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছিল রংপুর।
এনসিএলের ২৭তম আসরে সপ্তম ও শেষ রাউন্ডে নিজেদের ম্যাচে গতকাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর ৭ উইকেটে হারায় খুলনা বিভাগকে। সেই ম্যাচ জিতে পথ অনেকটা এগিয়ে রেখেছিল তারা। ম্যাচ জিতে ৭ ম্যাচ শেষে ৩ জয়, ১ হার ও ৩ ড্র’তে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠে রংপুর। শিরোপা জয়ের জন্য এই রাউন্ডে সিলেট বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা।
ম্যাচে সিলেট হেরে গেলে বা ড্র বা টাই করলেই শিরোপার স্বাদ নেবে রংপুর। শেষ পর্যন্ত বরিশাল ও সিলেটের ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাই ৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। ২০১৪-১৫ এবং ২০২২-২৩ মৌসুমের পর আবারও শিরোপার স্বাদ নিল রংপুর।
৭ ম্যাচে কোন ম্যাচ না হেরে ২ জয় ও ৫ ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকায় রানার্স-আপ হল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সিলেট। প্রথমবারের মত এনসিএলে খেলতে নেমে ৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হল ময়মনসিংহ বিভাগ।
রাজশাহীতে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩৭ রানে এগিয়ে ছিল বরিশাল বিভাগ। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২৫ রানের লিডকে সাথে নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ২১২ রান করেছিল বরিশাল।
চতুর্থ ও শেষ দিন ৪ উইকেট হারিয়ে আরও ৮২ রান যোগ করে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। ৬৬ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান করে তারা। ফলে জয়ের জন্য ৩২০ রানের টার্গেট পায় সিলেট।
৯৩ রানে দিন শুরু করে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ১৯৭ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল।
সিলেটের হয়ে বল হাতে তোফায়েল আহমেদ ৩টি ও আবু জায়েদ ২টি উইকেট নেন।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচ জিতলে শিরোপা জয়ের সুযোগ ছিল সিলেটের। তাই ৩২০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২১ রানে ২ এবং ৬৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় সিলেট। উপরের সারির চার ব্যাটারের মধ্যে অধিনায়ক জাকির হাসান সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন।
পঞ্চম উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন মুশফিকুর রহিম ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। ৭ চারে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক।
এরপর আশরাফুল হাসান রিহাদের সাথে দলের স্কোর ৫৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রানে নেন গালিব। ঐসময় ম্যাচটি ড্র মেনে নেয় দু’দল।
গালিব ৬১ ও রিহাদ ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের তানভীর ইসলাম ও মইন খান ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইফতিখার হোসেন ইফতি।