ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতায় আশাহত সমর্থকরা। মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কাণ্ডে অনেকেই ক্ষুব্ধ। সাধারণ দর্শকদের কারও কারও দাবি, পদত্যাগ করা উচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। এবার এই দুজনের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) নোটিশ পাঠান তিনি। বিসিবি সভাপতি ও সাকিব ছাড়া তিনি আরেকজনের পদত্যাগ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি হলেন বিসিবির নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এ ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে সমগ্র জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও সাকিব আল হাসানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটি বাতিল, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিজস্ব কোচ তৈরি, আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি মানের উইকেটে ঘরোয়া লিগ আয়োজন, স্কুল ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলে হয়েছে।
আজ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বিসিবির ঠিকানায় এ নোটিশ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্ত্বাধিকারী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
নোটিশে বলা হয়েছে, “বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে এমন কোন ক্রিকেট বোর্ড সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ দল গড়েছিল তাদেরই দেশসেরা ওপেনারকে দলের বাইরে রেখে। যেই ওপেনারকে স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডেকে নিয়ে অবসর থেকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর দুই মাস আগে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলের দায়িত্ব ছাড়েন। সেই ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এম.পি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে সময়োপযোগী কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার ওপেনার লিটন দাসও ব্যক্তিগত কারণে (পুত্রসন্তানের জন্ম) দুইবার খেলা চলাকালীন সময়ে দেশে এসেছেন। পেশাদার দলে মানবিক কারণে একবার আসা মেনে নেওয়া যায়। তাই বলে একাধিকবার! ম্যাচ গুরুত্বহীন হলেও পেশাদার টিমে এমনটা চলতে পারে না। ম্যানেজমেন্টের এমন শিথিল মানসিকতা চূড়ান্ত পেশাদার সময়ে আরও বেমানান।