![পরিশ্রম, ধৈর্য্য আর একাগ্রতাই একজন নাহিদা আক্তার সাথীর তৈরি করে পরিশ্রম, ধৈর্য্য আর একাগ্রতাই একজন নাহিদা আক্তার সাথীর তৈরি করে](https://www.banglarchokh.com.bd/media/imgAll/2023July/3200-2402281715.jpg)
বাংলার চোখ
একজন নাহিদা আক্তার সাথীর কথা ছোট ছোট বিন্দু থেকে বেড়ে উঠেছেন তার জন্ম চট্টগ্রামে। দাদা বাড়ী বরিশালে। কিন্তু তার বাবা পোর্টে চাকুরী করতেন বলে তার স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সবকিছুই চট্টগ্রামে। তার বাবার ছেলে সন্তান নেই কিন্তু তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন সবসময়। আমি যখন উদ্যোগ শুরু করি আমার মা আমাকে সবচেয়ে বেশি মানসিক এবং অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়েছেন। আমার ছোটবোনেরা আমাকে মডার্ন টেকনলজি এডাপ্ট করতে সাহায্য করেছে। আমার সব বোন, বন্ধু এবং সহকর্মীরা আমার ক্রেতা এবং শুভাকাঙ্ক্ষী। ফলে আমাকে পেছনে তাকাতে হয় নি। আমার যাত্রায় আমার নীরব সহচর এক ছোটবোনসহ আমার তাঁতের/হ্যান্ডিক্রাফটের কর্মীরা আমার পথচলাকে তাদের মনে করে কাজ করছে। ব্যবসায়ে প্রফিট রাখা ব্যবসায়ীর নৈতিক অধিকার। কিন্তু সেই অধিকারের সীমারেখা কতোটুকু?ব্যবসা ব্যবসায়ের জায়গায়, ম্যোরালিটি ঠিক রাখা উচিৎ একজন ব্যবসায়ীর মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় চেষ্টা করি একটা পণ্য আমি নিজের ক্ষেত্রে কনসিউমার হিসেবে যতোটুকু প্রফিটের মধ্যে গ্রহণ করতে চাই মানুষকে ম্যাক্সিমাম সেই রেটে দেয়ার। সামরিক, বেসামরিক সেবা কিংবা উদ্যোক্তা অথবা অন্য যেকোনো কিছু। আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ আমরা আসলে সেবক।এই দেশের, দেশের মানুষের। বিভিন্ন সময় ভেদে আয় উঠানামা করে।গড়ে মাসিক ৫০হাজার টাকার বেচা-কেনা হয়। আমি সবসময় কাজকে ভালোবেসেছি। চাকুরী করেছি ১৫ বছর ধরে ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে। যেহেতু ডেভলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করছি, তাই সবসময় মনে হতো এমন কিছু নিয়ে কাজ করবো, যা সবার একটু হলেও উপকারে আসবে। কাজকে যখন ভালোবাসবেন তখন পাহাড় সমান কাজও করা যায়। আমি যখন বিসনেস শুরু করেছিলাম, তখন আমি চাকুরী করতাম। আমি একই টাইম আমার চাকুরী, আমার বিসনেস, আমার সংসার, আমার বাচ্চাদের সবই ম্যানেজ করতো হতো।তকন আমি যেটা করতাম, আমার বাচ্চাদের স্কুল ৮ টায়, আমার অফিসও ৮ টায়। আমার ডেলেবারী গুলো রেডি করতে হবে। আমি সেই সময় ঘুম থেকে উঠতাম রাত ৩ টায়। সেই সময় রান্না শেষ করতাম, ডেলেভারী গুলো প্যাকেট করতাম, সংসারের যাবতীয় কাজ করতাম, বাচ্চাদের টিফিন বানিয়ে দিতাম। সকালে বাচ্চাদের স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যেতাম। সবাই যখন গল্প করে, টিভি দেখে, ঘুড়তে যায়, আমি সেই সময় আমার বিজনেস এর কাজ করতাম। আমার চাকুরী টা আমার একদম প্রয়োজন থেকে করা। সংসারের দায়িত্ব গুলো এড়িয়ে যাবার মতো না। আমার দায়িত্ব আমার বাচ্চাদের দেখা, তাদের খাবার, তাদের পড়াশুনা, তাদের সবকিছু। সব দায়িত্ব পালন করে এবং প্রয়োজনের জায়গা থেকে আমি একটু, একটু করে আমার ভালোবাসার জায়গাটা গড়ে তুলেছি। আমার এ ভালোবাসার জায়গা হলো আমার গল্পের শুরু। আমি সবসময় চেয়েছি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে। আমি তো সব দিক থেকে সবসময় আমার পরিবারের সার্পোট তো পাইনি। সেইখান থেকে আমি আমার স্বপ্নের জায়গায়টার জন্য যুদ্ধ করে গিয়েছি। ৫) আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে মাস্টার্স করেছি। আমরা ৫ বোন। ৫ বোনের মধ্যে বড় আপু সাংবাদিক, মেজ আপু, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আছেন। এরপর আমি।আর তারপরে আমার ছোটবোন একজন ডাক্তার আরেকজন আর্কিটেকচার। আমার দুই ছেলে। আমার হাসবেন্ড সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সাস্ট এ আছেন। আমার দুই ছেলে ক্লাস ফোর এবং ক্লাস টুতে পড়ে। আমাকে অনেকবেশী সহযোগিতা করে। আমার দুই ছেলে আমাকে অনেক বেশী সহযোগিতা করেন।আমি অনেক জায়গায় অনেক মেলা বা স্টল দিয়েছি। আমার পাশের টেবিলে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ড্রেস এর স্টল দিয়েছেন অনেকেই। তাদের একই টেবিলে বিক্রি হচ্ছে ১০ টা আর আমার ২ টা।অনেকসময় বিক্রি ও হয়নি আমার প্রোডাক্ট। আমি যেহেতু দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করি, আমার প্রোডাক্ট পাকিস্তানীদের কাছে মার খেয়ে গিয়েছে। অনেকেই বলেছেন আমাকে, এসব দেশী পণ্যের ব্যবসা করে পোষাতে পারবেন না। দাম বেশী মানুষ কিনে না। আপনি বরং পাকিস্তানি ড্রেস নিয়ে আসেন। এইসব কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হতো বিদেশের চাকচিক্যগুলো সবার চোখে পড়তো।সবার আড়ালে আমি চোখের পানি মুছেছি। তবুও আমি আমার দেশীয় শিল্প এবং পণ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। হয়তো একটা সময় আসবে মানুষ কম দামে বিদেশী জিনিস বা রংচঙে পণ্যগুলোর চেয়ে দেশী পণ্যকে প্রাধান্য দেবে এবং আমার দেশ সত্যিকার সার্বভৌমত্বের দিকে এগিয়ে যাবে শিল্পে, সংস্কৃতিতে সবকিছুতে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা আমার উদ্যোগের প্রচার করি মূলত। আমি ফেইসবুক পেজে আমার চিন্তাভাবনা লিখিতভাবে শেয়ার করি। পণ্যের ছবিগুলো দিয়ে শর্টস বা মিউজিকসহ ভিডিও তৈরী করি। এক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে যুক্ত হই রিচ বাড়ানোর জন্য। আমি অনেক গ্রাহক এবং সাপ্লাই এর সাথে পরিচিত হয়েছি যাদের আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু আমার কন্টেন্ট এবং নেগিশিয়েশন তাদের আস্হা তেরী করেছে। আমার অনেক নিয়মিত