ছবি: বাংলার চোখ
নওগাঁর রাণীনগরে মাটি দিয়ে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুনির নামের একজনের বিরুদ্ধে। এতে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার কয়েকটি মাঠের প্রায় এক হাজার বিঘা আবাদি জমির পানি নিস্কাশন নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।
মঙ্গলবার দিন সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামের আনালিয়া মৌজায় সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় তিন বিঘার একটি সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। পুকুরটি মসজিদের ভোগ-দখলের দোহায় দিয়ে কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভেকু মেশিন দিয়ে সরকারি পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে। আর ওই পুকুর থেকে খলিশাকুড়ি গ্রামের মুনির নামে এক ব্যক্তি মাটি কিনে তার ফসলি জমি ভরাট করছেন। জমির সাথে রাস্তার কালভার্টটির মুখও ভরাট করেছেন তিনি। এতে ওই এলাকার খলিশাকুড়ি, করজগ্রাম, মাধাইমুড়ি গ্রামের কয়েকটি ফসলি মাঠের পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় লুৎফর রহমান, হামিদুল ইসলাম, মুন্টু, আনছার আলী সহ বেশ কয়েকজন জানান, গ্রামের লোকজন বাধা দিলেও মুনির কথা শুনেনি। তিনি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, এর আগে মুনির গ্রামের আরো একটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করেছে। সেটিও এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়ে আছে। যার ফলে এলাকার প্রায় এক হাজার বিঘা জমির পানি নিস্কাশন নিয়ে আমরা দুঃচিন্তায় রয়েছি। দ্রুত কালভার্ট দুইটির মুখ ফাঁকা করে পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের নিকট।
এ বিষয়ে কালভার্টের মুখ ভরাটকারি মুনির বলেন, আমার জমি আমি ভরাট করেছি। আপনাদের যা করার আপনারা করেন।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম বলেন, কালভার্টের মুখ ভরাট করে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিব।