Banglar Chokh | বাংলার চোখ

মোরেলগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা ইমারাত নির্মাণের অভিযোগ 

কোর্টকাচারী

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০২:০৭, ১৭ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

মোরেলগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা ইমারাত নির্মাণের অভিযোগ 

ছবি: বাংলার চোখ

 বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বিবাধমান জমিতে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পাকা ইমারাত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।  জানাগেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের মৃত. তৈয়েবুর রহমান গাজীর মেয়ে নাজমা আক্তার তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর ধরে ভোগ দখল করে করছেন। তার পিতার মৃত্যুর পরে ৪ বোন, ২ ভাই ও বৃদ্ধ মাতাকে নিয়ে পিতার জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। ওই জমির মধ্যে থেকে বসতবাড়ি ও বিলীন ৭৪ শতক জমি নিয়ে র্দীঘ ১ বছর ধরে প্রতিবেশী সেকেন্দার আলী গাজীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয় পর্যায় একাধিক শালিস বৈঠক হলেও প্রভাবশালী সেকেন্দার আলী গাজী তা মানছে না। 
এ ঘটনায় নাজমা আক্তার বাদি হয়ে বাগেরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সেকেন্দার আলী গাজীকে বিবাদী করে ১৪৪ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মিস মামলা নং-২১১/২৪ (মোরেলগঞ্জ)।  

বিজ্ঞ আদালত ওই নালিশী জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদানের জন্য মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজকে নির্দেশনা দেন। একই সাথে মোকর্দ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ স্ব-স্ব অবস্থানে বজায় থাকার জন্য বলা হয়। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী সেকেন্দার আলী গাজী ও তার লোকজন ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে ওই নালিশী জমিতে গত এক সপ্তাহ ধরে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন।  
ভূক্তভোগী নাজমা আক্তার বলেন, প্রভাবশালী প্রতিবেশী সেকেন্দার আলী গাজী আদালতের ১৪৪ ধারা না মেনে তার বসতবাড়ির সিমানা থেকে ৮ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করার জন্য পাকা ইমারাত করছেন। পুলিশ এসে নিষেধ করা সত্ত্বেও তা মানছে না। তাদের উপর মহলের লম্বা হাত রয়েছে পুলিশকে উল্টো শাসিয়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্যর নিকটও একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

  এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী গাজী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে তার বাপ দাদার বসতভিটায় বসবাস করছেন। সেখানে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত কোন জমি তিনি ভোগ দখল করছেন না। 

  এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেটি না মেনেও সেকেন্দার আলী গাজীর ছেলে একজন আইনের লোক হয়েও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না দেখিয়ে প্রশাসনের সাথে দুব্যবহার করছে বিষয়টি লিখিত আকারে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হবে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়