Banglar Chokh | বাংলার চোখ

সরকারী সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর নির্মাণে কাজ বন্ধের নির্দেশ

কোর্টকাচারী

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

সরকারী সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর নির্মাণে কাজ বন্ধের নির্দেশ

ছবি: বাংলার চোখ

খুলনার পাইকগাছাশ কপিলমুনিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যের হাট পেরীফেরীর সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জনৈক অজয় সাধুগং এর বিরুদ্ধে।

এমন অভিযোগে রবিবার সরেজমিনে এসে পাইকগাছা-খুলনা মেইন সড়কের জায়গার উপর টিউবয়েল বসানোর সময় পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুজ্জামান কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। সূত্রমতে জানাগেছে, উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক মোকাম রায়সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিতি কপিলমুনি বাজার। এ লীলাভূমি ঘিরে রয়েছে বহু প্রাচীন ঐতিহ্য। এখানে অবস্থিত স্থাপনাগুলিও প্রাচীন ঐতিহ্যের বহন করে চলছে। বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আগের তুলনায় অনেক সমারহ। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটি মহল অবৈধ দখল ত্বারানিত করতে গিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যে ধবংস করছে। দোকান সংস্কারের নামে হাটপেরীফেরীর সরকারী সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। সম্প্রতি কপিলমুনি মেইন সড়ক সংলগ্ন সালতা ফিসের লাগোয়া সরকারী ১.৪৭ শতক জমি অবৈধ দখল করে সেখানে বহুতল নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে জনৈক অজয় ও সুজিত সাধুগং। দোকান সংস্কারের নামে মেইন সড়কের ফুটপাতের জায়গার তলদেশ খুড়ে কাজ শুরুর পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামাল হোসেন সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্ত পরবর্তীতে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় আবারো সেখানে গভীর গর্ত করে রডের তৈরী খাঁচা বসিয়ে কংক্রিটের ঢালাই পিলার তুলে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। জনবহুল রাস্তার পাশে কখন পর্দা আবার ও ব্যারিকেড দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে প্রাকাশ্য সরকারী সম্পত্তি দখল প্রক্রিয়া এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। জানাগেছে, উক্ত সম্পত্তির মাত্র ১ শতক সম্পত্তি জৈনক জীবন দে প্রাপ্য সম্পত্তি। সম্প্রতি তিনি ১ শতক সম্পত্তি অজয়গংদের নিকট বিক্রয় করেছেন বটে। কিন্ত সেখানে অজয়গং সরকারী পেরীফেরীর ১,৪৭ শতক সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। যাহা নাছিরপুর মৌজার ৪১৭ দাগের মধ্যে অন্তভূক্ত। প্রথমত এ সম্পত্তি ছিল জেলা বোর্ডের অন্তভূক্ত। ১৯৬২ পরবর্তী সময়ে হাট পেরীফেরীর আওয়াতায় চলে আসে। কপিলমুনি বাজার কেন্দ্রিক নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা ১২ টায় দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম কপিলমুনি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ধান্যচত্বরের অবৈধ দখলদার ফল ব্যবসায়ী শেখ শফিউর রহমান, রাকেশ মন্ডল, মজিদ ও অজয় সাধুকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম। তবে অজয় সাধুকে সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলের অপরাধে আটক পরবর্তী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় সে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। এছাড়া কপিলমুনি বাজারের ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ফুটপাতে অবস্থিত সকল প্রকার দোকান অপসারণের নির্দেশ দেন। এব্যাপারে কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মূলত অজয়গং জীবনদের নিকট থেকে ১ শতক জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু সে অতিরিক্ত আরো ১.৪৭ শতক  জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছে। আমি নিজে কয়েকবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। 
উপরোক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ, অফিস সহকারী জিহাদুল্লাহ, লিটু ও নাজমুলসহ কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ও বিজিপি সদস্যদের টহল টিম।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়