Banglar Chokh | বাংলার চোখ

দশ টুকরো হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করলো ছাত্রলীগ নেতা  

কোর্টকাচারী

প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০২:২২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

দশ টুকরো হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করলো ছাত্রলীগ নেতা  

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন (২৭) হত্যা মামলায় মূলহোতা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখ ও ইফতিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। রিমান্ডে মিলনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সজীব ও ইফতি। গতকাল বিকালের দিকে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা।

রিমান্ডে নেয়া আসামি সজীব শেখ (২৪) কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এবং ইফতি খান হাউজিং সি ব্লকের ২৫৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে। সজীব শেখ কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান।

শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় সজীবকে। এরপর তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সজীব ও ইফতি মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজু মোহন সাহা বলেন, মিলন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সজীব ও ইফতির বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

 রিমান্ডের মিলনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সজীব ও ইফতি। এ পর্যন্ত মিলন হত্যাকাণ্ডে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিংকন, জনি, সজল ও ফয়সাল হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৬ আসামির মধ্যে ৪ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত রোববার ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ৪ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১) ও ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)।  প্রসঙ্গত, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের ৪ স্থান থেকে মরদেহের ১০ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়