ছবি: বাংলার চোখ
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জনৈক এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া (২৫) নামে প্রাণ কোম্পানীর একশ্রমিককে গ্রেফতার করেছে থানাপুলিশ।
গত ৬ ডিসেম্বর রোজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএমসহ একদল পুলিশ ধুলিয়াখাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে মামলার বাদী নির্যাতিতা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মামলার বিবরণে জানা যায়, জনৈক ওই নারী স্বামী মারা যাবার পর তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে বেকায়দায় পড়ে। অভাব অনটনের কারণে প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি নেয়। সেখানে জুনেদের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সে প্রেম নিবেদন করে। এতে সাড়া না দিয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসে। তবুও জুনেদ তার পিছু ছাড়েনি। তার বাড়ি এসে বিষের বোতল নিয়ে হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে সে জুনেদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়।
গত ২৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় ওই নারী সন্তানের জন্মদিনে জুনেদ তাদের বাড়ি আসে। ওই দিন রাতে সে তাকে বাড়ি থেকে যায় এবং রাত ১১টার দিকে তাকে পানি দিতে বলে। পানি নিয়ে এলে জুনেদ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এরকম বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় দুজন। এক পর্যায়ে তানিয়া অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। এরপর তাকে বিয়ের কথা বললে জুনেদ এড়িয়ে যেতে থাকে। পরে তানিয়া সদর থানায় জুনেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।জুনেদ সদর উপজেলার মশাজান নোয়াবাদ গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র।এসআই মমিন জানান, আসামি গ্রেফতারের পর সে অপরাধের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। গতকালই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।