Banglar Chokh | বাংলার চোখ

ঝালকাঠি শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠাতার শেষ ইচ্ছায় বাধা  

শিক্ষা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২৮ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

ঝালকাঠি শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠাতার শেষ ইচ্ছায় বাধা  

নিজস্ব ছবি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠিাতা মরহুম আঃ হামিদ সওদাগরের শেষ ইচ্ছা পূরণ হলোনা। কলেজ কমিটির বাধার কারনে তাকে তার নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে কলেজ পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী দাফন না দিতে কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মরহুমের নিকট স্বজনরা। বিনয়কাঠি ইউনিয়নে এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একজন শিক্ষাবিদের শেষ ইচ্ছে পুরন না করায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জড় উঠে এর প্রতিবাদে। আঃ হামিদ সওদাগর গত ২৬ মার্চ রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চট্টগ্রাম নিজ বাসভবনে মারা যান।
মরহুমের নাতনী আসমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নেতা আঃ হামিদ সওদাগরের মৃত্যু সংবাদ শুনেই তাকে তার প্রতিষ্ঠান বিনয়কাঠি কলেজে যাতে দাফন করা না যায় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বিনয়কাঠিবাসি ও তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল মরহুমের জানাজায় অংশ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে দাফন করার। কিন্তু তাতে সুপরিকল্পিত ভাবে বাঁধা দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, তার জীবনের সব কিছু জড়িত এই প্রতিষ্ঠানের সাথে। তিনি তার সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কিছুই করেননি। ১০০ একরের এই সম্পত্তিতে কলেজটি করে এখান থেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অন্যের সন্তানরা আজ প্রতিষ্ঠিত। তার জীবনের চাওয়া পাওয়া ছিল এটাই। সেই মানুষটাকে তার প্রতিষ্ঠানে শেষ আশ্রয় দেয়া হয়নি। কত বড় অমানুষ হলে এরকম কাজ করা সম্ভব সেই বিচার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। মরহুমের নাতনী আসমা আক্ষেপ করে আরো জানান, এই মানুষটার ছবি কিছু দিন পুর্বে কলেজ থেকে সরিয়ে তার নাম মুছে দেয়া হয়েছে।
এলাকবাসী জানায়, বুধবার মরহুমের লাশ হেলিকপ্টারে বিনয়কাঠিতে আনার পর জানাজা শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে দাফন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলেজের গেট বন্ধ করে দেয়ায় অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন মরহুমের ভাগ্নে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তখন অধ্যক্ষ কলেজ ক্যাম্পাসে মরহুমের জানাজা দিতে অপারগতা জানালে সুলতান হোসেন খান বলেন, কলেজ পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন আছে তার মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে শেষ ইচ্ছানুযায়ি দাফন দেয়ার। কিন্তু অধ্যক্ষ তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয়রা বলেন, হামিদ সওদাগর এই কলেজ করায় আজ আপনি অধ্যক্ষ হয়েও তার ক্যাম্পাসে দাফনের বিরোধীতা করছেন। আপনাকেও মরতে হবে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম হায়দার বলেন, হাামিদ সওদাগরের লাশ কলেজে আনতে আমাদের কোন নিষেধ ছিলনা। তার লাশ তো চট্রগ্রাম থেকে আনাই হয়নি। তার জীবন যৌবন কলেজের পিছনে শেষ করে গেছেন। একথা বলেই তিনি তড়িগরি করে ফোন কেটে দেন।
বিনয়কাঠি ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না  করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়