
সাকুরা চিংড়ি
জাপান পৃথিবীর উদীয়মান সূর্যের দেশ হিসাবে পরিচিত, তবে এই দেশ টিতে আশ্চর্য্য হবার মতো অনেক কিছুই রয়েছে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হবে:
এবার তুলে ধরলাম "স্বর্গীয় চিংড়ি"।
স্বর্গীয় চিংড়ি বা সাকুরা চিংড়ির জন্য উপযুক্ত সময় এখন, তবে এই চিংড়ি জাপানের সব অঞ্চলে পাওয়া যায় না, তাই এটি জাপানিদের কাছে খুব প্রিয়।
সাগরের কিছু কিছু স্থানে পাওয়া যায় এই মৌসুমে, তবে এখন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কয়েকটি অঞ্চলে সাকুরা চিংড়ির চাষ হচ্ছে।
আপনি সাকুরা চিংড়ি কাঁচা খেতে পারেন এবং কাঁচা খাওয়ার সময় এটি এতটাই সুস্বাদু এবং মিষ্টি আপনাকে অবাক করে দিবে। তাই, জাপানিদের কাছে একটি স্বর্গীয় রত্ন।
জাপানের ফুজি মাউন্টেন্ডের আশেপাশে এলাকায় এখন চাষ করা হয়, তাই ফুজি মাউন্টেন্ডে এলাকার লোকেরা এই চিংড়িটিকে লাল গালিচা বলে।
জাপানি সাকুরা চিংড়ি, শিজুওকা প্রিফেকচারের একটি বিশেষত্ব সহকারে চাষ করছেন খামারিরা। আর এখন এই চিংড়ির মৌসুম।
এটি সত্যিই একটি লাল গালিচা মত দেখতে, আশ্চর্যজনক চিংড়ি যা দেখার বা খাবার সুভাগ্য হয়েছে আমার।
যদিও বা সাকুরা চিংড়ি দেখতে একদম পরিষ্কার ও চিংড়িটির কোনো গন্ধও নেই খেতে অনেকটা গ্রিন কোকোনাট কার্নেলের মতো স্বাদ, বাংগালী বলে কথা,আমি প্রথমে খেতে চাইনি।
আমি অনীহা প্রকাশ করেছিলাম, তবে এত দুর্দান্ত চিংড়িটি স্বর্গীয় বা একটি রত্নের মতোজাপানের মানুষের কাছে, তাই টেস্ট করে দেখলাম যে স্বাদ বর্ণনা করা যাবে না। কিন্তু যদি কেউ জাপানে বেড়াতে যান তা হলে অবশ্যই খেয়ে আসবেন।
তবে এই লাল শিগ্রী বা সাকুরা চিংড়ি জাপানের সব ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দেখা মিলবে এই মৌসুমে।
সাকুরা ফুলের পাপড়ি পড়লে মনে হয় লাল বা গোলাপী গালিচা ঠিক যেমন স্বর্গীয় চিংড়ি তেমুনি অবিশ্বাস্য তা আমি অনেক দেশে খোঁজ করেছি পাইনি।
এর চেরি ব্লসম-রঙের চেহারাকে স্বর্গীয় উপসাগরের জুয়েল বলা হয় এবং এর মাংস মিষ্টি এবং স্বাদে পূর্ণ।
জাপানের শিজুওকাতে সাকুরা চিংড়ির মজুদ রয়েছে, তারা কাকিয়াজ, কুমাগায়া খাবারে কাঁচা সাকুরা চিংড়ি পরিবেশন করে।
এছাড়াও আপনি "সাকুরা চিংড়ি সেট খাবার" উপভোগ করতে পারেন, যা সুকুদানি এবং স্যুপের সাথে সাকুরা চিংড়িতে ভরা।
চেরি চিংড়ি মাছ ধরার মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে সাকুরা চিংড়ি ক্রেতাদের ভিড় চোখে পরে রেস্তোরা বা ডিপার্টমেন্টে।