Banglar Chokh | বাংলার চোখ

রুহী এখন সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ

সাহিত্য কথা

বিলকিস আক্তার সুমি

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ৭ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

রুহী এখন সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ

মাসুদা সিদ্দিকী রুহি

লেখা পাগল রুহী এখন সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ। সেই ছোটো বেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। এখন অবদান রাখছেন সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনে। বলা চলে এখন যারা সাহিত্যকে স্বউৎসাহে এগিয়ে নিচ্ছেন রুহী তাদের মধ্যে একজন।
লেখক মাসুদা সিদ্দিকা রুহী। সিলেট নগরীর মধুশহীদ এলাকায় তার জন্ম। বাবা আব্দুল মুকিত ও  মা সুফিয়া সিদ্দিকা। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম সন্তান। মাসুদা সিদ্দিকা রুহীর পারিবারিক পরিমন্ডলও পরিচ্ছন্ন। তার বাবার উৎসাহ ছিলো সব সন্তানকে শিক্ষিত করে তোলা। সে ধারাবাহিকতায় রুহি এসএসসিতে প্রথম, এইচএসসি, বিএ (পাস) পরীক্ষায় দ্বিতীয় এবং পরবর্তীতে লাইব্রেরি সায়েন্স ও ডিপোমা করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল জীবন থেকে লিখালিখি শুরু করেন।

স্কুল ম্যাগাজিন, কলেজ ম্যাগাজিন, প্রথম আলোর ছুটির দিনে ‘হরিষে বিষাদ’ লিখে নিজেকে লিখার জগতে পাকাপোক্ত করে নেন। গল্প, ফিচার, কবিতায়, সাহিত্যের  সব জায়গায় বিচরণ করেন  এ নিয়ে রুহির চারটি বই প্রকাশ হয়েছে সমানতালে। মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সদস্য এই লেখক। অনেক সম্মান অর্জনের পাশাপাশি ২০১৭ সালে কবিতায় কেমুসাস তরুন সাহিত্য পদক পান। ২০১৮ সালে পেয়েছেন কবিতায় গাংচিল সাহিত্য পদক। সাংবাদিকতা  শুরু করেন কিন্তু পেশা হিসেবে নেন নি। সে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সিলেট বিভাগীয়  কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক। রুহীকে সিলেট লেখিকা সংঘ সাংবাদিকতার সম্মাননা দেয়। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘বেলার বিভিন্ন সভা সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

রুহি দৈনিক ভোরের কাগজের পাঠক সংগঠন ‘পাঠক ফোরাম’ চ্যানেল আই টেলিভিশনের দর্শক সংগঠন ‘চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম’ দেশ টিভির দর্শক সংগঠন দেশ টিভি দর্শক ফোরামের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের সাথে সুদীর্ঘ কালের সাংগঠনিক সম্পৃক্ততার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেট লেখিকা সংঘের সাথে দীর্ঘ যাত্রা পথে যুক্ত থেকে নিষ্টার সাথে সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিশু-কিশোর সংগঠন সুরমা খেলাঘর আসর এর সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এক সময় সিলেট শহরে অভিভাবকরা মেয়েদের একা বের হতে দিতে ভয় পেতেন। তখন রুহী ছিলেন প্রতিবাদী। নারী স্বাধীনতা, নারীদের কর্মঠ হয়ে উঠা, চাকুরীতে নারীদের অর্ন্তভুক্তি সহ নানা বিষয়ে তিনি কাজ করেন। মাসুদা সিদ্দিকা রুহী নিজেকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বমহিমায়। পিছ পা হননি। পরিবারেও সাপোর্ট ছিলো। পড়াশুনায় ভালো থাকায় বাবা মা ভাই বোন সব কাজে উৎসাহ দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস ছিল। তিনি তখনই সমরেশ মজুমদার,  হুমায়ুন আহমেদ,  সুনীল শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, জয় গোস্বামী, মহাদেব সাহার বই পড়েছেন। বর্তমানে রুদ্র গোস্বামীর ভীষণ ভক্ত তিনি।

স্কুল চ্যাম্পিয়ান এই লেখক কলেজ জীবনে বিএনসিসি থেকে কুমিল্লায় গিয়ে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পদক ছিনিয়ে আনেন।  এ রকম প্লাটফর্মে এই লেখক তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। জাতীয় প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। সিলেটের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের নিয়ে লেখাপাঠের আসর ‘ছন্দে আনন্দে’ অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়