.
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশ আজ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্ষমতার জন্য রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দলীয় ক্যাডার ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করে সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে, তারা কোনো বিরোধী দলকে থাকতে দিতে চায় না। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতকে নির্মূল করবে। দেশের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নির্মূল করার মাধ্যমে দেশকে বিদেশি শক্তির বিচরণক্ষেত্র বানানোর জন্য আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে।’
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন-সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবদুর রহমান মুসা প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়ে সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করে আবারও ক্ষমতা দখলের জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশবাসীর দাবি উপেক্ষা করে তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সম্প্রদায়সহ দেশের জনগণ এ ফরমায়েশি তফশিল প্রত্যাখ্যান করেছে। দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে এবং ডামি প্রার্থী ঘোষণা করে সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজেদের দলীয় নির্বাচনে পরিণত করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনের নাটকে রূপ দিতে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের সব নিয়ম-কানুন পদদলিত করে ঘুষ, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে কিছু লোককে বাগিয়ে নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, যশোর জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা নম্বরবিহীন গাড়িতে চড়ে জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করছে। গুরুতরভাবে আহত করে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ ধরনের ২০টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে।’
ভারপ্রাপ্ত আমির আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে বাসাবাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না, রাস্তায়ও নামতে দিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে হত্যা করছে ও আহত করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’