Banglar Chokh | বাংলার চোখ

এশিয়ান কাপে সেরা কাতার

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

এশিয়ান কাপে সেরা কাতার

ছবি:সংগৃহীত

এএফসি এশিয়ান কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক কাতার। জাপানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে তাদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার হাতছানি। অন্যদিকে এই প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পার হতে পেরেছে জর্ডান। র‍্যাঙ্কিংয়েও বেশ পিছিয়ে কাতারের চেয়ে। কিন্তু রূপকথা জন্ম দিয়ে ফাইনালে আসা দলটি স্বপ্ন দেখছিল অল আরব ফাইনালেও রূপকথার গল্প লিখতে। কিন্তু আজ রাতে কোনো রূপকথা নেই, এশিয়াসেরার মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল কাতার।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনালে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কাতার। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। ২০০৪ সালে জাপানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হলো কাতার। ফাইনাল হ্যাটট্রিকে রাঙালেন কাতারের আকরাম আফিফ।

এদিন তিনটি গোলই পেনাল্টি থেকে পেয়েছে কাতার। জর্ডানের পক্ষে একমাত্র গোলটি ইয়াজান আল-নাইমাতের।

 ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই লুসাইল স্টেডিয়ামেই ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার। ফাইনালে কাজে লাগেনি ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক। কিন্তু আজ একরা আফিফকে আর ব্যর্থতার মালা গলায় পরতে হয়নি। ম্যাচে পাওয়া তিন পেনাল্টির প্রতিটি কাজে লাগিয়ে কাতারকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া সেরার শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি।

প্রথমবার ফাইনালে ওঠা জর্ডানের চেষ্টার কমতি ছিল না। প্রাণপণে লড়েও শেষ পর্যন্ত রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের। এশিয়া সেরার প্রতিযোগিতায় অবশ্য এটিই তাদের সেরা সাফল্য।

প্রথমার্ধে সাদামাটা ফুটবল খেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে সেমিফাইনালে বিদায় করে আসা জর্ডান। কাতার শুরুতে ছন্দ খুঁজে না পেলেও সময়ের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ নেয়।

২০ মিনিটের সময় জর্ডানের আব্দুল্লাহ নাসিব কাতারের আকরাম আফিফকে বক্সের পেছনে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন আফিফ। সে যাত্রায় না পারলেও ৩২ মিনিটে জর্ডানকে বাঁচান গোলরক্ষক ইয়াজিদ।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল জর্ডান। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারি প্লেসিং শট নিলে মোহাম্মদ অ্যাদের গায়ে লেগে আটকে যায়। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ঘরের মাঠে খেলা কাতার।

 দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জর্ডান। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। কিন্তু কাতারের গোলরক্ষক বারশাম ছিলেন দেয়াল হয়ে। ৫৮ মিনিটে এহসান হাদ্দাদকে আটকে দেওয়ার পর মিনিটে ইয়াজান আল আরাবের বুলেট গতির সাইড ভলিও ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটে হতাশ হন আলিও।

কাতারের ওপর চাপ ধরে রেখে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন আল-নাইমাত, এরপর জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন।

তবে ছয় মিনিট পরেই ফের লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত কাতারি সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান আফিফ। স্পট কিকে গোল করে কাতারকে ফের এগিয়ে দেন তিনি। বক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।

এদিন ইনজুরি সময় হিসেবে ১৩ মিনিট দেন রেফারি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো আফিফ। কিন্তু ডি বক্সে তার প্রথম স্পর্ষ একটু জোরাল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। আগুয়ান গোলরক্ষক ইয়াজিদ বাধা দিতে গিয়ে তাকে ফেলে দেন। অফসাইডের পতাকাও ওঠে।

কিন্তু কাতার ভিএআর চেক করার আবেদন করতে থাকে। এরপর ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে দলের জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফিফ।

পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়াই কেবল এই কীর্তি দেখিয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়