Banglar Chokh | বাংলার চোখ

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ তৃষ্ণা রানীর নিরব কান্না 

সারাবাংলা

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ১০ জুন ২০২৪

সর্বশেষ

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ তৃষ্ণা রানীর নিরব কান্না 

ছবি: বাংলার চোখ

ঘরের চাল বইন্যার সময় বাতাসে উড়াইয়া লইয়া গেছে। নষ্ট হইয়া গেছে সব মালামাল। এহন বৃষ্টি আইলে ভিজা ছাড়া উপায় নাই। কি আর করার আছে, এইয়ার মধ্যে পোলাপান লইয়া থাকতে হইবে। টাকা যে সময় হইবে, হেই সময় ঘর ঠিক করমু। কথাগুলো বলছিলেন ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ গৃহিনী তৃষ্ণা রানী। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায়। সংসারে দুই পুত্র সন্তানসহ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত স্বামী। সে সিপিপি’র সেচ্ছাসেবী সদস্য। বর্তমানে বিছানায় শুয়ে রাতের আকাশে চাঁদ দেখা তাদের কাছে এখন বিলাসিতা নয়। তবে এই পরিবারে চলছে নিরব কান্না।
ক্ষতিগ্রস্থ গৃহিনী তৃষ্ণা রানী বলেন, তার স্বামী খোকন গাইন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুগ ধরে কর্মহীন। কয়েকটি শিশুকে প্রাইভেট পড়ানোর টাকায় চলে সংসার। সিডরের পর থেকেই চার দফা তার ঘর ভেঙেছে ঝড়ে। এবার ঘূর্ণিঝড় রিমাল সেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু তছনছ করে দিয়েছে। এখন ঘর মেরামত করার মত তার হাতে টাকা নেই। সে এখন কিভাবে এই ঘর তুলবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেননা। তাই মাথার উপর আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্টা করছেন নিজেই।
ক্ষতিগ্রস্থ গৃহিনী তৃষ্ণা রানী অসুস্থ স্বামী খোকন গাইন বলেন, মুই অসুস্থ মানুষ। কাম কাইজও করতে পারিন। কেমনে যে এই ঘড় উঠামু কইতে পারিনা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে উপজেলার ১৬৭১টি ঘর বাড়ী সম্পূর্ন এবং ২৬ হাজার ৯টি ঘর বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। এসব দুর্গত মানুষের কাছে ত্রান সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন সহ জন প্রতিনিধিরা।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহনির্মাণ বাবদ টিন এবং অন্যান্য উপকরণ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ আছে, যা দ্রুতই তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়