Banglar Chokh | বাংলার চোখ

গারো পাহাড়ে আঙ্গুর ফল চাষে সফলতা

সারাবাংলা

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১০ জুন ২০২৪

সর্বশেষ

গারো পাহাড়ে আঙ্গুর ফল চাষে সফলতা

ছবি: বাংলার চোখ

প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে শেরপুর গারো পাহাড় এলাকায় আঙ্গুর ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন উদ্যোক্তা জালাল মিয়া। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে আসে ফল। তার বাগানে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে থোকা থোকা বিদেশী সুমিষ্টি ফল আঙ্গুর। ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে লাগানোসহ সব মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বাগানে আসা সেই কাঙ্খিত সুমিষ্ট ফল বিক্রি করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা । তার আশা, বাগান থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো আঙ্গুর বিক্রি হবে। সফলতার হাতছানি পাওয়ায় নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন জলিল মিয়া।  
জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার মেঘাদল গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়া আঙ্গুর চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন। বিদেশী আঙ্গুর ফলের মতোই রসালো ও মিষ্টতা থাকায় এলকায় অনেকেই এ আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
চাষি জালাল মিয়া জানান, ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বসে প্রথমে দুই জাতের গড়ে ১২শ টাকা দরে ১০টি আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। এরপর আরো দুই ধাপে ৪০টি জাতের ৮০টি চারা নিয়ে নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। এতে সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এরপর বাগানে আসতে থাকে সুমিষ্ট ফল। তার বাগান থেকেই ইতিমধ্যে ৩ শ টাকা কেজি দরে ফল ব্যবসায়ীরা আঙ্গুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আঙ্গুর বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বাগানে যে পরিমান আঙ্গুর ধরেছে তাতে প্রায় ৩ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি। ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে তিনি এ বাগান থেকেই কলমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে অন্যত্র এ চাষের আওতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এদিকে, গারো পাহাড় এলাকায় আঙ্গুর ফল চাষ ছড়িয়ে পড়লে দেশের আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে স্থানীয় অন্যান্য উদ্যোক্তারা জানান। সেইসাথে গারো পাহাড়ে আঙ্গুর চাষে সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি জনপদে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষে আরো সফলতা আনবে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। জালাল মিয়ার আঙ্গুরের বাগান দেখে স্থানীয় অনেকেই আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ আঙ্গুর চাষের পরিধি বাড়লে এলাকার বেকার সমস্যা দূর ,পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে বলে স্থানীয় আগ্রহী চাষিরা মনে করছেন।

ঝিনাইগাতি ও শ্রীবদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, শেরপুরের গারো পাহাড় এলাকার মাটি আঙ্গুর চাষের খুবই উপযোগী। তাই এখানকার আঙ্গুরের মিষ্টতা বেশি। এ ধরণের ফল চাষে উদ্যোক্তাদের  উৎসাহ ও সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে ।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়