Banglar Chokh | বাংলার চোখ

১৮মাইল-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে অদৃশ্য কারনে বাঁক সোজা হচ্ছে না

সারাবাংলা

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

১৮মাইল-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে অদৃশ্য কারনে বাঁক সোজা হচ্ছে না

খুলনা-সাতক্ষীরা-যশোরের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ১৮মাইল-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। যা প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ব্যায় সড়ক উন্নয়ন চলমান। সরলীকরণ প্রজেক্টে আছে। পাইকগাছায় আগড়ঘাটায় ২টি, কপিলমুনি ২টি, তালায় ২টি বাঁক মহাবিপজ্জনক। যাত্রীদের কাছে রূপ নিচ্ছে আতঙ্কের। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক গুলো আজও অদৃশ্য কারনে প্রজেক্টের সরলীকরণ কাজ শুরু হয়নি। প্রায় এই সড়কে ঘটচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ঝরছে  প্রাণ। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। মূলত চালকদের অদক্ষতা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও প্রধান সড়ক লাগোয়া অবৈধ স্থাপনা এবং যানের অবাধ বিচরণের কারনেই রোধ করা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। তাই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সড়কটিকে নিরাপদ করে তোলার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে পাইকগাছার আগড়ঘাটা বাজারের প্রধান সড়কের দুইটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক জনস্বার্থে সরলীকরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর নির্দেশনায় সড়কের দুই পার্শ্বের খাস জমি দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ১২টি দোকান ঘর ও ১টা সরকারি চাঁদনী ঘর সহ ৭০ থেকে ৮০ মিটার স্থাপনা থানা পুলিশের সহায়তায় নিয়ে ২৪ জানুয়ারি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্বে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন। সঙ্গে ছিলেন এস আই তরিকুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স। মোড় দুইটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। যেটা বাঁক সরলীকরণ প্রজেক্টের মধ্যে ছিল না। এদুটি মোড়ে দুর্ঘটনা প্রায় লেগে থাকত। শুধু মাত্র মানুষের কথা ভেবে, যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য একাজ টা করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানিয়েছেন। এছাড়া ঐদিন উপজেলার হরিঢালী অবৈধভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিপর্যয়ে বা দূষণকারী টালির ভাটা বা পাঁজা ভেঙ্গে ফেলা হয়।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়