Banglar Chokh | বাংলার চোখ

শুকিয়ে গেছে বান্দরবানের খাল, বিল :পুরো খাল জুড়ে ধান চাষ 

সারাবাংলা

জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষ্যংছড়ি,(বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

শুকিয়ে গেছে বান্দরবানের খাল, বিল :পুরো খাল জুড়ে ধান চাষ 

মৌসুমর শুরুতেই খালে পানি শূন্যতা। তাই কি আর করবে উপায়ন্তর না পেয়ে খালেই চলছে ধান চাষ। বিগত বছর গুলুতে বর্তমান মৌসুমে খাল, বিল, নদী নালা,পাহাড়ি ছড়া পানিতে ভরপুর ছিল। কৃষকেরা ছিল চাষাবাদে ব্যস্ত। কিন্ত এখন খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণ জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। 
তারপরও চাষাবাদের জন্য ডিপ টিউবওয়েল বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছে কৃষকেরা। 
সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কিম /সেচ ম্যানেজার মোঃ নুরুল হাকিম জানান,পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে দীর্ঘ কাল যাবত এই শুকনো মৌসুমে অর্ধশত একর জমির সেচ ম্যানাজার হিসেবে খালের উপর বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ  করে আসছে। কিন্ত এবছর খালে পানি  না থাকায় বাঁধ দিয়ে ও কোন লাভতো দুরের কথা উল্টো আরাে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। তবে তিনি হাল ছাড়েননি ডিপ টিউবওয়েল বসিয়ে নতুন করে পানির ব্যবস্থা করছেন। 
স্থানীয় লোকজনের দাবী পাহাড়ে এখন আর গাছ বাশ না থাকায় পাহাড় ও শুকনো হয়ে গেছে। তাই আর পাহাড় থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। 
থোয়াইংগাকাটা এলাকার বাসিন্দা কৃষক আবু নছর, মোশাররফ আলী, নুর আহাং সহ অনেকেই জানান, খালে পানি না থাকায় এখন পুরো খাল জুড়ে চলছে ধান চাষ। 
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার অধিকাংশ খাল, যেমন ফারির খাল, গর্জন খাল, আলীক্ষ্যং খাল, ইদগড় বড় ছড়া খাল,  ছোট গর্জন খাল, বাকখালী, দৌছড়ি খাল এখন আর খাল নেই। চাষের জমি ও ক্ষেত খামার এবং সবজি বাগানে পরিনত হয়েছে। 
কৃষক আবুল শামা জানান চাষাবাদের জন্য ধানের বীজ করা হয়েছে। এখন পানি না থাকায় তিনি দুঃ চিন্তায় রয়েছে। তাছাড়া  খাল শুকিয়ে যাওয়ায় বালি দূস্যদের নজরে পড়ে খালের বালি।  বর্তমানে দেদারসে চলছে বালি আহরন। রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের গর্জন খালে চলছে বালির গাড়ি। চলছে বালি আহরন। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ ধ্বংশ হয়ে যাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়