Banglar Chokh | বাংলার চোখ

টাঙ্গাইল দেলদুয়ারে মানিক মল্লিকের অত্যাচারে গৃহহারা শওকত! 

সারাবাংলা

টাঙ্গাইল  প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ৫ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

টাঙ্গাইল দেলদুয়ারে মানিক মল্লিকের অত্যাচারে গৃহহারা শওকত! 

 টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলি ইউনিয়নে মাইঠাইন গ্রামের মোঃ মতি মল্লিকের ছেলে মানিক মল্লিকের অন্যায়,অত্যাচার,ও জুলুমের স্বীকার হয়ে দীর্ঘদিন গৃহ ছাড়া ঝুনকাই গ্রামের ওসমান গনির ছেলে শওকত আলী।

সরজমিনে জানা যায়, মানিক মল্লিক একজন আদম বেপারী বিভিন্ন চাকরির দেওয়ার নামে এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নিকট হতে বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রায় দুই কোটি দুই লক্ষ টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। 

মানিক মল্লিক একজন দুষ্ট প্রকৃতির সন্ত্রাসী প্রকৃতির  ঠকবাজ অর্থ আত্মসাৎ কারি, দাঙ্গাবাজ লোক বলে পরিচিত, এলাকাবাসীর বক্তব্য মতে জানা যায়। মানিক মল্লিক সুকৌশলে সহজ সরল শওকত আলী'কে আদম ব্যবসার লোক জোগাড় সহ নানা'ন লোভে ফাঁদ পাতে মানিক মল্লিক।

শওকত আলী তার এমন মিঠা কথার লোভে পড়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনকে বিদেশে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এভাবে এলাকায় প্রথম নজরুল নামে এক ব্যক্তিকে ভিজিট ভিসা দিয়ে বিদেশে পাঠায়,এমন বিশ্বাসে অতি সহজেই শওকত আলী মানিককে আদম জোগাড় করে দেয়। 

কাজী ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস এজেন্সিতে 'ঢাকা বনানীতে'  মানিক প্রায়ই শওকতের নিকট হইতে পর্যায়ক্রমে দুই কোটি দুই লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে শওকত নিয়ে জমা দেয়। কিন্তু এত লোকজনের টাকা নিয়েও কোন ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠাতে পারে নাই, আজ ফ্লাইট কালকে ফ্লাইট দেয়ার নামে প্রতারণার ফাদে পড়ে যায় নিরহ শওকত। 

মানিক মল্লিক এত টাকা আত্মসাৎ করার পরেও বিভিন্ন সন্ত্রাস বাহিনী, বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী'র ভয় দেখিয়ে প্রায় দশ বছর গৃহ ছাড়া করে রেখেছে শওকত আলীকে। দুই কোটি দুই লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার পরেও মামলায় ফাঁসাতে চেষ্টা করেছে বহুবার।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর বক্তব্যে মানিক মল্লিক  টাকা নিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি। শওকত কে ঘর বাড়ি-ভিটা ছাড়া করেছে বলে, এলাকা বাসির বক্তব্যে তুলে এসেছে । 

দেউলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম (মনির) বলেন, শওকত এখন রাস্তার ফকির, শওকতের পিতাকে জিম্মি করে মানিক মল্লিক প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার ঘরবাড়ি, জমি-জমা বিক্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান দেওয়ান তাহমিনা হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কখন কে কার নিকট  হতে টাকা নিয়েছে, কবে নিয়েছে, জানিনা শুধু  শুনে আসছি। 

এই ঘটনার সূত্র ধরে মানিক মল্লিকের বাড়িতে গেলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে তিনি কথা বলেন। প্রতিবেশী বকুল মানিকের বক্তব্য ধারণ করায় সংবাদ কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। 

এ ব্যাপারে শওকত আলী বাদী হয়ে গত ১৯/০৭/২০২১ ইং. সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলদুয়ার আমলি আদালত, টাঙ্গাইল মামলা নং - ১৯৮/২০২১ ইং।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়